অনলাইন ডেস্ক, ২০ আগস্ট।। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর বিবিসির। পুতিন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যে ফোনে কথোপকথনের পর ক্রেমলিন এই ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বিবিসিকে বলেছিলেন যে তিনি প্ল্যান্টের পরিস্থিতি নিয়ে ‘চিন্তিত’। তিনি বলেছিলেন, জাপোরিঝিয়াকে ঘিরে সামরিক তৎপরতা অবশ্যই শেষ করতে হবে। মস্কোকে সেখানে ইন্সপেক্টরদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই প্লান্টটি মার্চের শুরু থেকে রাশিয়ার দখলে ছিল কিন্তু ইউক্রেনীয় প্রযুক্তিবিদরা এখনও রাশিয়ানদের নির্দেশে এটি পরিচালনা করছে। ফরাসি ও রুশ নেতাদের মধ্যে কলের পর ক্রেমলিন বলেছে, পুতিন জাতিসংঘের তদন্তকারীদের সাইটটিতে প্রবেশের জন্য ‘প্রয়োজনীয় সহায়তা’ দিতে সম্মত হয়েছেন।
ক্রেমলিন বলেছে, উভয় নেতাই পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের প্ল্যান্টে পাঠানোর গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন। জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) পুতিনের বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি নিজেই প্ল্যান্ট পরিদর্শনে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন।
রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ‘অত্যন্ত অস্থির এবং ভঙ্গুর এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে আরও বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো নতুন পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া কমপ্লেক্সটিকে একটি সেনা ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং প্রায় পাঁচশো সৈন্য মোতায়েন করেছে।
ডিনিপার নদীর ওপারের শহরগুলোতে আক্রমণ করার জন্য তারা এই জায়গাটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্লান্টের আশপাশের এলাকায় ভারী কামানের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে চলেছে। কিয়েভ এবং মস্কো হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।