২৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত দেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের মরুর দেশ সংযুক্ত  আরব আমিরাত

অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জুলাই।। গত ২৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত দেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের মরুর দেশ সংযুক্ত  আরব আমিরাত। পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে দেশটির ফুজাইরাহ শহরে।
জলে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট।

পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। দেশটির সংবাদমাধ্যম গালফ টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওমান উপসাগর তীরবর্তী দেশটির পূর্ব উপকূলীয় ফুজাইরাহ শহরে ২২১.৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত বুধবার দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের সাথে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে দেশের অনেক উপত্যকা প্লাবিত হয়েছে এবং কিছু এলাকায় জল জমেছে। গত ২৭ বছরের মধ্যে চলতি জুলাই মাসে ফুজাইরাহ বন্দরে ২২১.৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেক এলাকার রাস্তায় পানি জমে গেছে।

এমকি রাস্তায় জমে থাকা পানির স্রোতে পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোর কাচ ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে। সংবাদমাধ্যম গালফ ডেইলি নিউজ অনলাইনের প্রকাশ করা ওই ভিডিওতে রাস্তায় জমে থাকা জলের স্রোতে আশপাশের দোকানগুলোর সামনে কাচ ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

এর ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ফুজাইরাহ এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য ফুজাইরাহের পাশাপাশি আরব আমিরাতে অন্যান্য অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। খোরফাক্কান শহরে ১৯৯৫ সালের পর থেকে গত কয়েকদিনে সর্বোচ্চ ১৭৫.৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এছাড়া ফুজাইরাহ বন্দর এলাকায় ২২১.৮ মিমি, ফুজাইরাহ বিমানবন্দর এলাকায় ১৫৩ মিমি, মাসাফিতে ১২২.৮ মিমি, খোরফাক্কান বন্দর এলাকায় ৯৮.৫ মিমি এবং ধাদনাহে ৯৮.২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে ফুজাইরাহ এমিরেটসের অন্তর্গত মিরবাহ এলাকায় ৮১ মিমি, কালবায় ৬৫.২ মিমি এবং জেবেল জেইসে ৫৬.২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *