হিন্দু ও জৈন মন্দির ধ্বংস করে তৈরী বিখ্যাত কুতুব মিনার

অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মে।। হিন্দু ও জৈন মন্দির ধ্বংস করে বানানো হয়েছিল বিখ্যাত কুতুব মিনার, সেই চত্বরে আবার দেবদেবীদের পূজা দেওয়া হোক— এই দাবিতে মামলা চলছে দিল্লির সাকেত আদালতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার জানায়, মামলার শুনানিতে বিচারক সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনো পূজা ছাড়াই ৮০০ বছর ধরে টিকে আছে দেবতারা, ওইভাবেই চলতে থাকুক।

হিন্দুপক্ষের আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন বলেছিলেন, ‘যদি কোনো দেবমূর্তি ধ্বংস করা হয় তাহলেও তা দেবত্ব এবং পবিত্রতা হারায় না। কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে মূর্তি আছে। সুপ্রিম কোর্ট বলে, যদি দেবদেবীরা টিকে থাকে, পূজা করার অধিকারও টিকে থাকে।’

এও বলেন, এক্ষেত্রে পূজা করার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর জবাবে বিচারক বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পূজা করার অধিকার খর্ব করা যেতেই পারে।’

সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই কুতুব মিনার নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক আঞ্চলিক অধিকর্তা ধরমবীর শর্মা বলেন, কুতুব মিনার কুতুবউদ্দিন আইবকের বানানো নয়। সূর্যের গতিপথ নির্ণয় করতে বানিয়েছিলেন হিন্দু সম্রাট রাজা বিক্রমাদিত্য (দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত)। কুতুব মিনার চত্বরে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি উঠেছিল।

এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বানশালের দাবি ছিল কুতুব মিনারের নাম আসলে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’। এবং কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ তৈরি হয়েছিল ২৭টি ধ্বংসপ্রাপ্ত হিন্দু-জৈন মন্দিরের জিনিসপত্র দিয়ে। এ ব্যাপারে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানায়, ১৯১৪ সাল থেকে সংরক্ষিত মনুমেন্ট কুতুব মিনার, একে এখন বদলানো যাবে না। পূজা করার অনুমতিও কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *