দ্রুত মালগাড়ি চলাচলের জন্য বাতিল হচ্ছে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন

অনলাইন ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল।। শুধুমাত্র মালগাড়ি চলাচলের সুবিধা করে দিতে গোটা দেশে ৫০০ টি দূরপাল্লার এবং ১৭০টি স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনে বাতিল হতে চলেছে। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রয়োজন অতিরিক্ত কয়লা। কিন্তু ওয়াগনের অভাবে বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার মজুত একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে।

দ্রুত মালগাড়ি চলাচলের জন্যই এই সমস্ত লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দৈনিক গড়ে প্রায় ১৬ টি ট্রেন বাতিল হতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লা পুড়িয়ে। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে কয়লার প্রয়োজনীয়তা। কিন্তু পর্যাপ্ত কয়লা না থাকায় মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, গুজরাত-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে কয়লার সঙ্কট নিরসনে কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দ্রুত কয়লা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্যই মালগাড়ি চলাচলকে দেওয়া হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্ব। শুক্রবার রেলওয়ে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৃষ্ণা বনসল জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সীমা কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে।

অত্যন্ত দ্রুত বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাতে কয়লা পৌঁছে দেওয়া যায় সে জন্য বেশ কিছু দূরপাল্লার এবং স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন করা হচ্ছে। শাপাশি বেশকিছু ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ১৬ টিরও বেশি প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হতে পারে। সব মিলিয়ে ৬৭০ ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পাশাপাশি কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৪ মে অবধি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০-রও বেশি মাল গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু কয়লা সঙ্কট মেটাতে মালগাড়ির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালগাড়ি যাতে দ্রুত পৌঁছে যায় সে জন্য ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর তৈরি সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *