অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারী।। ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার কঠোর নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এল।
কুলেবা বলেন, যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে বিশ্বে বিপর্যয় নেমে আসবে। তবে এতেও আমরা নত হব না। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কুলেবা বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন এমন নির্দেশ দিলেন যখন দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সংলাপের ঘোষণা এল।
আমরা পুতিনের এই নির্দেশকে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে দেখছি। তিনি আরো বলেন, কিন্তু আমরা এসব চাপে কাবু হব না। আমরা খুব স্বাভাবিকভাবেই সংলাপে উপস্থিত থাকব। আমরা সেখানে যাব রাশিয়া কী চায় তা শোনার জন্য এবং আমরা তাদের সে প্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্য জানাব। তিনি যোগ করেন, ইউক্রেনের পতন ঘটছে না।
আমাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে তবে আমরা সফলভাবে নিজেদের রক্ষা করে যাব। তিনি বলেন, আমরা আমাদের এক ইঞ্চি জায়গাও তাদের ছেড়ে দেব না। এ যুদ্ধ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনের জনগণের। আমরা রাশিয়াকে পরাস্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যেভাবে আমরা ৮০ বছর আগে ইউরোপের এই দানবকে পরাস্ত করেছিলাম। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরামাণবিক অস্ত্রের তদারকিতে নিয়োজিত বাহিনীকে সতর্ক থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার টেলিভিশনের এক ভাষণে রুশ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রতি বৈরী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ‘বেআইনি নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে। এ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইউক্রেন সম্মত হয়েছে। তবে তারা কোনো পূর্বশর্ত মানতে রাজি নয়।
বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর এক বার্তায় এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে জল, স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ সৈন্যরা। অভিযান শুরুর তৃতীয় দিন গতকাল ইউক্রেনের দক্ষিণের জাপোরিঝঝায় অঞ্চলের মেলিটপোল শহর দখল করে নেন রুশ সৈন্যরা।
বাকি তিনটি শহর হলো নোভা কাখোভকা, খেরশন ও বারদিয়ানস্ক। রবিবার খারকিভে প্রবেশ করে রাশান সৈন্যরা। তারা সেখানকার গ্যাস সরবরাহ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায়। খারকিভের বিভিন্ন অংশে রাশিয়ান ট্যাংক ও যুদ্ধ যান দেখা যায়। এ সময় গোলার শব্দও শোনা যায়। ইউক্রেন সরকার কয়েকটি ভিডিওতে জ্বলন্ত রাশিয়ান যুদ্ধযানের তথ্য জানায়।