বিয়ের ৩৬ বছর পূর্ণ করলেন মহেশ ভাট ও সোনি রাজদান

অনলাইন ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল।। রণবীর-আলিয়ার বিয়ের রেশ এখনও কাটেনি। এর মাঝেই বুধবার আলিয়ার বাবা-মা সেলিব্রেট করছেন তাদের বিবাহবার্ষিকী। বুধবার বিয়ের ৩৬ বছর পূর্ণ করলেন মহেশ ভাট ও সোনি রাজদান। তবে মহেশ ভাট ও সোনি রাজদানের বিয়ে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

বিবাহবার্ষিকীতে ফিরে দেখা যাক এই জুটির সম্পর্কের শুরুর দিনগুলো।

বিবাহিত মহেশ ভাট প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী সোনি রাজদানের। এরপর আশির দশকের শেষের দিকে বিয়ের বাঁধনেও বাঁধা পড়েন এই জুটি। তবে নিজের প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি মহেশ।

কিন্তু হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে না। এই জন্য এক অভিনব রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন মহেশ ভাট। নিজের মায়ের ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে সোনি রাজদানকে বিয়ে করেন মহেশ ভাট।

নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো নিয়ে বরাবরই বিস্ফোরক মহেশ ভাট। একবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মহেশ ভাট নিজেকে শিরিন মোহাম্মদ আলির ‘অবৈধ সন্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, মহেশ ভাটের মা-কে বিয়ে করেননি তার বাবা নানাভাই ভাট। গুজরাতি অভিনেত্রী ছিলেন শিরিন আলি।
মহেশ ভাট ১৯৬৮ সালে লরেন ব্রাইটকে বিয়ে করেন, বিয়ের পর লরেন নিজের নাম পালটে রাখেন কিরণ। তাদের দুই সন্তান পূজা ভাট (১৯৭২) ও রাহুল ভাট (১৯৮২)। মাঝে অভিনেত্রী পারভিন বাবির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিবাহিত মহেশ ভাট। তবে মানসিকভাবে অসুস্থ পারভিনের সঙ্গ শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দেন মহেশ।

মহেশ ভাট ও সোনি রাজদানের দুই কন্যা, শাহিন ভাট ও আলিয়া ভাট। শুরুতে মহেশের দুই পরিবারের মধ্যে তেমন সখ্যতা ছিল না। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে সব সমীকরণ।

মহেশের প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের প্রতি কী কোনও বিরূপ মনোভাব রয়েছে সোনি রাজদানের? আলিয়ার মা এক সাক্ষাতারে এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন- ‘কিছু সময়ের জন্য হয়ত ছিল, হয়ত.. তবে সময়ের সঙ্গে সেটা বদলে গেছে। এখন আমাদের সম্পর্ক অনেক মজবুত, তবে হ্যাঁ, ঝগড়া তো হয়েছে। যখন বিয়ে হয়নি তখন অনেকবার সমস্যা হয়েছে, তবে বিয়ের পর পরস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে’।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *