স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ এপ্রিল।। বিতর্ক পার্টির জন্য দুর্বলতা নয়। ১০০ বছর হয়ে গেছে পার্টির। লেনিনের মতাদর্শ থেকে অনুসরন করে সমৃদ্ধ হয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এবং এটা কিভাবে দ্রুততর করা যায় তার জন্য ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এর জন্যই লেনিনের জন্মদিন পালন করা। এটাই শাস্ত্রের লক্ষণ। শুক্রবার আগরতলা টাউন হলে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির উদ্যোগে মহামতি ভ্রাদিমির ইলিচ লেনিনের ১৫৩ তম জন্ম দিবস উপলক্ষে হল সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। মার্কসবাদী থেকে লেনিনকে আলাদা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। লেনিনের জন্মদিন পালন করা মানে ফুল-বেলপাতা দেওয়া নয়। তার থেকে শেখার জন্য। যে সমাজতন্ত্র করতে তিনি চেয়েছিলেন, তার ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু বুঝতে হবে মেধা মারা যায়, আদর্শ টিকে থাকে। সুতরাং সেইভাবেই মহান নেতা লেনিনকে দেখতে হবে। লেনিন ছিলেন একজন নীতিনির্ধারক। লেনিনের দিশায় এগিয়ে গেলে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা সফল হবে। তাই মানুষকে সংঘবদ্ধ করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এটাই কৌশল। কারণ সমাজতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। সমাজতন্ত্রে একলাফে গিয়ে পৌঁছানো যাবে না। স্বাধীনতা আন্দোলনে যে অসম্পূর্ণ দেখতে রয়ে গেছে সেটা সম্পূর্ণ করতে হবে গণতান্ত্রিকভাবে। শ্রমিক, কৃষকদের মধ্যে যে শোষণ এখনো রয়ে গেছে তা সমাধান করে সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সদ্যসমাপ্ত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এ বিষয়টি বলা হয়েছে। সেখানে কোনো কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তাই শোষিতদের শোষণমুক্ত করার জন্য এ লড়াই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি আরো বলেন লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না, হয়তো বোঝাতে যাচ্ছে না, লড়াই করা হচ্ছে, সব লড়াইকে আবার সুসংগত করা যাচ্ছে না। যারা মিত্র সেজে শত্রুতা করছে তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার কাজটা ঠিকঠাক ভাবে করা যাচ্ছে না। এগুলি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। তাই এই ভুলগুলো সংশোধন করে লেনিনের মতাদর্শে গিয়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে । আর এর জন্য সবাই এগিয়ে না আসলে চলবে না তা ভাবার কোন প্রয়োজন নেই। লেনিন’ বলেছেন নিজের শক্তির উপর আস্থা রাখতে হবে। এবং সত্য থেকে নিজেকে লুকানোর যাবে না। এর জন্য সত্যকে নিয়ে এগুতে হবে। এর জন্য ভিন্ন পথ অনুসরণ করলে ঠিক হবে না। দেশে এবং রাজ্যে একদলীয় শাসন পরিচালনা করার প্রচেষ্টা চলছে। এবং গণতন্ত্র আক্রান্ত। তাই লেনিন থেকে শিখে একদলীয় ব্যবস্থা থেকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে জানান তিনি। এদিন লেনিনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, নারায়ণ কর, তপন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।