German: জার্মানি থেকে ইউক্রেনে এসে পৌঁছেছে রাশি রাশি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র

অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ফেব্রুয়ারী।। সারি সারি অস্ত্র ঢুকছে ইউক্রেনে। রবিবার সকালেই জার্মানি থেকে এসে পৌঁছেছে রাশি রাশি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও যুদ্ধবিশারদরা প্রশ্ন তুলেছে এখন আর কি এর প্রয়োজন আছে? যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে ইউক্রেন সেনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার সৈন্য যুদ্ধ করছে না ঠিকই, তবে পশ্চিমা দেশগুলো এখন আর অস্ত্র পাঠাতে কার্পণ্য করছে না।

তারা এ-ও জানিয়েছে যে, ইউক্রেন চাইলে আগামী দিনে আরও অস্ত্র পাঠানো হবে। কিন্তু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর এই দরাজহস্ত হওয়ার কি আর কি কোনও প্রয়োজন আছে? এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলল আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ইউরোপ-আমেরিকার অস্ত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, অস্ত্র যে আসবে, তার ব্যবহার করবে কে? এখন অস্ত্র পাঠানোর কি আর কোনও তাৎপর্য আছে! ক্ষতি যা হওয়ার তা কি ইতিমধ্যেই হয়ে যায়নি?

গত বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনা অভিযানের ঘোষণা করেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার নিরন্তর হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। পুতিন বাহিনীর দৌরাত্ম্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ।

গত তিন দিনে মারাও গিয়েছেন শদুয়েক নাগরিক, সেনাকর্মী। রুশ সেনারা পৌঁছে গিয়েছে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে। রাজধানীতে যারা পথে নেমে যুদ্ধ করছেন, তাদের অনেকেই সাধারণ নাগরিক।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এখন পশ্চিমের অস্ত্র পেয়ে কি সত্যিই আর কোনও লাভ হবে? রাশিয়ার হামলার মুখে কোণঠাসা ইউক্রেনের যখন পশ্চিমী দেশগুলির সমর্থনের সব চেয়ে বেশি দরকার ছিল, তখন পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা। এখন সাহায্য পাঠিয়ে লাভ কি? এ দিকে, যুদ্ধের মধ্যেও নিজের এবং পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী কিয়েভেই রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি।

যুদ্ধবিশারদরা বলছেন, রুশ বাহিনীর হাতে তার বন্দি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। অল্প ক্ষমতা নিয়ে এখনও লড়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু জেলেনস্কি বন্দি হলে তাদেরও মনোবল ভাঙবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তাই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, অনেক দেরি হয়ে গেল সামরিক সাহায্য পাঠাতে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *