অনলাইন ডেস্ক, ৫ এপ্রিল।। নতুন নয়টি উপসর্গ যোগ করার মাধ্যমে কভিড উপসর্গের আনুষ্ঠানিক তালিকা আরও বড় করা হয়েছে। খবর বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা তাদের হালনাগাদ করা নির্দেশিকায় নতুন উপসর্গ হিসেবে গলা ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা ও ডায়রিয়ার উল্লেখ করেছে।
মহামারি দেখা দেওয়ার দুই বছর পর এই উদ্যোগ নিলো সংস্থাটি।
তবে এনএইচএস সতর্ক করে দিয়ে বলছে, নতুন উপসর্গের অনেকগুলোই ঠান্ডা ও ফ্লুর উপসর্গের সাথে ‘একেবারে মিলে যায়’।
যুক্তরাজ্যে স্বীকৃত কভিডের প্রাথমিক উপসর্গগুলো হচ্ছে— জ্বর, টানা কাশি, ঘ্রাণ ও স্বাদের লোপ।
মহামারির প্রথম থেকেই এ কথা জানা যে, এই তিনটি হচ্ছে করোনাভাইরাসের একেবারেই প্রাথমিক উপসর্গ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের উপসর্গের তালিকা আরও দীর্ঘ।
তবে কারো করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেখার জন্য আরও কোন উপসর্গ বিবেচনা করা হবে কি না, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিতর্ক রয়েছে।
মাথাব্যথাকে কভিডের একটি উপসর্গ বলে মনে করা হয়। কিন্তু মাথাব্যথার কারণে নিশ্চয়ই সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেখা হবে না, কারণ আরও নানা কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
জ্বর, কাশি এবং গন্ধ ও স্বাদহীনতা উপসর্গ হিসেবে চূড়ান্ত, কারণ বেশির ভাগ কভিড রোগীরই এই উপসর্গ থাকে।
কিন্তু এখন উপসর্গের তালিকায় যোগ করা হয়েছে আরও নয়টি— শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা, গা ব্যথা, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি অথবা নাক বন্ধ, ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া এবং বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
কিংস কলেজ লন্ডনের প্রফেসর টিম স্পেকটর উপসর্গের তালিকা দীর্ঘ করার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তিনি বলছেন, ‘দুই বছরের তদবিরের পর অবশ্য করোনাভাইরাসের প্রধান উপসর্গের তালিকা পরিবর্তন হলো …. হুররে!’
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণে রেকর্ড হয়েছে। দেশটির ৪৯ লাখ মানুষ করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন।
গত সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ মানুষের জন্য বিনা মূল্যে পরীক্ষার সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।