অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ফেব্রুয়ারী।। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য চেরনোবিল সারা বিশ্বে পরিচিত। ইউক্রেনে হামলা চালাতে এ বিপজ্জনক ও নিষ্ক্রিয় জায়গাকেই বেছে নেয় রাশিয়া। শুধু ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করেই এলাকাটি প্রথমে দখল করে তারা।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে ঢুকতে গেলে চেরনোবিলকে কবজা করাই ছিল তাদের কাছে সহজ রাস্তা। কেননা, চেরনোবিল থেকে বেলারুশের দূরত্ব বেশি নয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করতে গেলে চেরনোবিলকে আগে কবজা করা প্রয়োজন ছিল। রাশিয়া চাইছিল দ্রুত হামলা।
আর সেটার জন্য বেলারুশ থেকে কম দূরত্বের রাস্তা চেরনোবিল। রাশিয়ার শরিক দেশ বেলারুশ। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার ঝামেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই বেলারুশে রুশ সেনাদের মোতায়েন করা হচ্ছিল। যাতে যুদ্ধ লাগলেই সেখান থেকে প্রথমে চেরনোবিল কবজা করা যায়।
সেখান থেকে কিয়েভ দখল করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলার দুই দিনের মধ্যে কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে যায় রাশিয়া। কিয়েভ থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে চেরনোবিল। এখানেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৮৬ সালে। যার জেরে ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী দেশ বেলারুশেও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল।
সেই তেজস্ক্রিয়তার সরাসরি এবং পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। যা বিশ্বে সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনা হিসেবে এখনো পরিচিত। সেই ঘটনার পর চার দশকের বেশি সময় কেটে গেছে। চেরনোবিলে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা খানিক কমলেও পরমাণু কেন্দ্রটি নিষ্ক্রিয় অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। তবে এখনো মাইলের পর মাইল এলাকা বিপজ্জনক বলেই চিহ্নিত।