অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মার্চ।। পুরুলিয়ার ঝালদা, পানিহাটি, রামপুরহাটের পর এবার নদিয়ার হাঁসখালি। এখানে তৃণমূল নেতা সহদেব মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
সহদেব কাজ সেরে রাত আটটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। মুড়াগাছা বাজারে পিছন থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তাকে স্থানীয় মানুষ শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হয়। প্রথমে তাকে কল্যাণীতে নেয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। পরে রাতে তাকে কলকাতায় এনে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কাছ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে বলে সহদেবের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রানাঘাটে তৃণমূলের সভানেত্রী রত্না ঘোষ আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘ঘটনাটা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এতে বিজেপির ইন্ধন থাকতে পারে’। আর বগুলার তৃণমূল সভাপতি শিশির রায়ের মনে হচ্ছে, ‘বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করতে পারে’।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এই অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, তদন্ত করলে দেখা যাবে, এর পিছনে তৃণমূলের ভাগ বাটোয়ারার কাহিনি আছে।
কেন এই অবস্থা?
রাজ্যে কেন একের পর এক রাজনৈতিক নেতাকে প্রকাশ্যে এইভাবে খুন করা হচ্ছে বা খুনের চেষ্টা হচ্ছে?
প্রবীণ সাংবাদিক দীপ্তেন্দ্র রায়চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি ও দুবৃত্তদের পথ মিলে গেলে এটাই হয়। এখন তো রাজনীতিতে বালি সহ বিভিন্ন মাফিয়া, সিন্ডিকেট সব মিলেমিশে গেছে’।
দীপ্তেন্দ্রের মতে, ‘আগে মাফিয়ারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করত। এখন অনেক ক্ষেত্রে তার মধ্যে রাজনীতিবিদরা ঢুকে পড়ছেন ও মারামারির শিকার হচ্ছেন’।
সাংবাদিক ও অধিকাররক্ষা কর্মী আশিস গুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের হাতেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত। বিরোধীরা খুবই দুর্বল। তাই ক্ষমতার দখল নিয়ে লড়াইয়ে এখন তাই শাসক দলের নেতারা বিরোধে জড়াচ্ছেন’। তার মতে, ‘ক্ষমতা দখল বলতে এলাকা দখল থেকে শুরু করে সবই আছে’।