আগরতলা, ১ মে : বৃহস্পতিবার আগরতলায় গোর্খাবস্তিস্থিত মৎস্য দপ্তরের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে মৎস দপ্তরের অধিকর্তা ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিয়ে রাজ্য ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠক করলেন মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে মৎস্য দপ্তর কতৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন ও রাজ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় এই পর্যালোচনা বৈঠকে।
গোর্খাবস্তিস্থিত মৎস্য দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, দপ্তরের অধিকর্তা সহ বিভিন্ন মহকুমা এবং জেলার আধিকারিকরা। এই পর্যালোচনা বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে মৎস্য দপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি দপ্তরের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে চালু রাখার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এই প্রসঙ্গে মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ কিভাবে ব্যয় করা হবে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের কাজের খতিয়ান নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বিগত অর্থবর্ষে কাজ করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ে বাধা এসেছে এই বাধাগুলি দূর করার জন্য আধিকারিকদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মৎস্য মন্ত্রী আরো জানান, রাজ্যে মাছের ঘাটতি পূরণে আরো কি ধরনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় সেই বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা বৈঠকে আলোচনা হয়।
মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান, ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক সম্পর্ক এখনও প্রশাসনিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়নি। তাই বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবেই রাজ্যে মাছ আসছে। তবে বাংলাদেশ থেকে কি পরিমান মাছ রাজ্যে আসছে সে সম্পর্কে অবগত নন তিনি। তিনি আরও জানান, বাজারগুলিতে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ মৎস্য দপ্তরের নয় ।সাধারণ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়টি দেখাশোনা করে। দপ্তর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। মাছে ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে কিনা সেই বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। মৎস্য মন্ত্রী জানান, মৎস্য দপ্তরের শূন্য পদ পূরণের জন্য অর্থ দপ্তরকে জানানো হয়েছে।