উন্নয়নের কাজে বাধা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মেয়র

আগরতলা, ১৮ এপ্রিল : রাজধানী আগরতলা শহরের ওরিয়েন্ট চৌমুহনী থেকে আইজিএম চৌমুহনী পর্যন্ত স্মার্ট সিটি প্রকল্পে কভার ড্রেনের কাজ হবেই। কেউ বাধা দিলে আইনি পথেই তা মোকাবিলা করা হবে। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট রোডের কভার ড্রেনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে একথা জানান আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার।

নিজ বাড়ির সামনে কভার ড্রেনের নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন। এমনটাই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।প্রভাবশালী ব্যক্তির বাধা দানের ফলে নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার ওরিয়েন্ট চৌমুহনী থেকে আইজিএম চৌমুহনী পর্যন্ত নির্মীয়মান কভার ড্রেনের কাজ পরিদর্শনে যান আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার। সাথে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার তথা পশ্চিম জেলার জেলা শাসক বিশাল কুমার এবং সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজের ইঞ্জিনিয়াররা।

এদিন মেয়র সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। মেয়র জানান, স্মার্ট সিটি লিমিটেড, আগরতলা পুর নিগম, নগর উন্নয়ন দপ্তর এবং পূর্ত দপ্তরের উদ্যোগে রাজধানী আগরতলার বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন স্থানে কভার ড্রেনের নির্মাণ কাজ চলছে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধীন এই কাজ ওরিয়েন্ট চৌমুহনী থেকে আইজিএম চৌমুহনী পর্যন্ত চলছিল। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন এই নির্মাণ কাজে বাধা দেন।

মেয়র আরো জানান, কেন তিনি বাধা দিলেন তা জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, সামনেই বর্ষা আসছে। তাই এই কভার ড্রেনের নির্মাণ কাজ এপ্রিল এবং মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কারোর বাধা মানা হবে না, তিনি যত বড়ই প্রভাবশালী ব্যক্তি হন না কেন। তিনি সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজের এজেন্সির আধিকারিকদের কাজটি দ্রুত শুরু এবং সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়র আরো বলেন, উন্নয়নের কাজে কোন বাধা এলে সরকারি ভাবেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিন রাজধানীর আরো কয়েকটি স্থানে কভার ড্রেনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র এবং কমিশনার তথা পশ্চিম জেলার জেলা শাসক। সংশ্লিষ্ট স্থানের নির্মাণ কাজেও বাধা দান করা হয়েছিল। মেয়র জানান, কারোর ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য গোটা শহরবাসী কষ্ট পাবেন তা মানা যায় না।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *