অনলাইন ডেস্ক,২৩ মার্চ।। প্রবল আর্থিক সংকটে দিন কাটছে শ্রীলঙ্কার। মঙ্গলবার দেশের পেট্রোল স্টেশনগুলিতে লাইনে দাঁড়ানো মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ দমন করতে সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
দক্ষিণ এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রটি সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে লড়ছে। এখন বিদ্যুতের সমস্যার পাশাপাশি এবং খাদ্য ও রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও অভাব রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। সরকারী মুখপাত্র রমেশ পাথিরানা বলেছেন, ক্ষুব্ধ জনতা কলম্বোর একটি প্রধান রাস্তা অবরুদ্ধ করে। কারণ সোমবার তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও কেরোসিন তেল কিনতে পারেনি। তাই তারা রাস্তা অবরুদ্ধ রাখে। তাই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ফুটেজে দেখা গিয়েছে একদল বিক্ষুব্ধ মহিলা কেরোসিনের অভাবের প্রতিবাদে এক ট্যুরিস্ট কোচকে আটক করে। পাথিরানা রাজধানীতে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা পর্যটকদের আটকে রাখা দেখেছি। আমরা এও শুনছি যে কিছু লোক তেল মজুদ করছে এবং সে কারণেই সরকার সামরিক মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
শনিবার থেকে শুরু করে তিনজন বয়স্ক ব্যক্তি জ্বালানী নেওয়ার লাইনে মারা গিয়েছেন। সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাষ্ট্র-চালিত সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পাম্পিং স্টেশনগুলিতে সৈন্যদের মোতায়েন করা হয়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্সে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার সব রাজনৈতিক দলের বৈঠক ডেকেছেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো বলেছে যে তারা বৈঠক বয়কট করার পরিকল্পনা করেছে।
শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকট বৈদেশিক মুদ্রার একটি গুরুতর ঘাটতির কারণে তৈরি হয়েছে। কোভিড – ১৯ মহামারীর কারণে শ্রীলঙ্কার পর্যটন কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে। ফলে আয় প্রায় বন্ধ। দেশকে সচল রাখতে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ঋণের অনুরোধ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেখানে শ্রীলঙ্কার বড়সড় ঋণ রয়েছে। ফলে এবার অর্থ দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।