অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারী।। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলো পরপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও যুদ্ধের ময়দানে একাই লড়ছে ইউক্রেন। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
নতুন এক নির্দেশনায় তিনি জানালেন, ইউক্রেন ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষেরা। যা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি জাগিয়ে তুলছে। বৃহস্পতিবার বলা হয়, ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষেরা দেশের সীমানা ত্যাগ করতে পারবেন না। এই নিয়ম সামরিক আইন বজায় থাকা অবধি কার্যকর থাকবে। আমরা নাগরিকদের এই তথ্য এখন থেকেই মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।
তবে এই পুরুষদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না তা নিয়ে এখনই কিছু পরিষ্কার করেনি জেলেনস্কি সরকার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে আক্রমণ শুরু হয়। বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির কারণে ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো থেকে ইতিমধ্যে লাখখানেক মানুষ পালিয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়া রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে ‘একা’ লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে শুক্রবার মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমি ২৭ জন ইউরোপীয় নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছি ইউক্রেন ন্যাটোতে থাকবে কিনা। সবাই ভয় পায়, কেউ উত্তর দেয় না। তবে আমরা ভয় পাই না, আমরা কিছুতেই ভয় পাই না।
আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে ভয় পাই না, আমরা রাশিয়াকে ভয় পাই না। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাই না।’ আরও বলেন, ‘আমাদের জাতিকে রক্ষা করার জন্য আমরা একা হয়ে গেছি। কে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত? আমি কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।’
তিনি জানান, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৩৭ জন সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এর আগে অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।