অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারী।। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনকে একা ফেলে গেছে ন্যাটো— শুক্রবার এ মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়া রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে ‘একা’ লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘আমি ২৭ জন ইউরোপীয় নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছি ইউক্রেন ন্যাটোতে থাকবে কিনা। সবাই ভয় পায়, কেউ উত্তর দেয় না। তবে আমরা ভয় পাই না, আমরা কিছুতেই ভয় পাই না। আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে ভয় পাই না, আমরা রাশিয়াকে ভয় পাই না। আমরা রাশিয়ার সাথে কথা বলতে ভয় পাই না।’ আরও বলেন, ‘আমাদের জাতিকে রক্ষা করার জন্য আমরা একা হয়ে গেছি। কে আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত? আমি কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে আক্রমণ শুরু হয়। বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির কারণে ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো থেকে ইতিমধ্যে লাখখানেক মানুষ পালিয়ে গেছে। মার্কিন ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, কিয়েভ দখল করে সরকারের পতনের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার কিয়েভের উত্তরে চেরনোবিল সাবেক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দখল নিয়েছে তারা।
জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাকে এক নম্বর লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে’, ‘আমার পরিবার দুই নম্বর টার্গেট। তারা রাষ্ট্রপ্রধানকে ধ্বংস করে রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়।’ তিনি রাজধানীতেই থাকবেন, পরিবারও ইউক্রেনে আছে বলে উল্লেখ করেন।
এ দিকে জেলেনস্কির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কিনা জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমার জানামতে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার পদে ইউক্রেনে রয়েছেন এবং অবশ্যই আমরা আমাদের বন্ধুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বিগ্ন।’ জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৩৭ জন সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এর আগে অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।