অনলাইন ডেস্ক, ২২ মার্চ ।। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা এবং তাদের সন্তানরা সুইজারল্যান্ডের একটি বিলাস বহুল বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। কয়েকদিন আগেই এমন খবর প্রকাশ করে ইউএস নিউজ আউটলেট, পেজ সিক্স, ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল ও ডেইলি মিররের মতো গণমাধ্যমগুলো।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়- স্বর্ণপদক বিজয়ী জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভা (৩৮) তাদের তিন সন্তানের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে রয়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নেয়ায় এবার বিপাকে পড়েছেন সাবেক এই জিমন্যাস্ট। চেঞ্জ ডট ওয়ারজি নামে একটি ওয়েবসাইটে আলিনাকে সুইজারল্যান্ড থেকে বহিষ্কারের দাবিতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
ওই আবেদনে রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশের আবেদনকারীরা সুইজারল্যান্ড থেকে আলিনাকে তাড়িয়ে দিতে স্বাক্ষর করছেন। ওই পিটিশনে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ স্বাক্ষর পড়েছে।
পিটিশনের ভাষ্য অনেকটা এমন, এখন ইভা ব্রাউনের তার ফুহরারের (হিটলারকে সে সময় অত্যাচারী নেতার উপাধি দেয়া হয়েছিল) সঙ্গে পুর্নমিলনের সময়।
বর্তমান যুদ্ধ সত্ত্বেও, সুইজারল্যান্ড পুতিনের শাসনামলের একজন সহযোগীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে। পিটিশনটি জার্মান, ফরাসি এবং ইংরেজিতে পোস্ট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পুতিনের সঙ্গে আলিনার নাম জড়ায়। মিডিয়া টাইকুন এবং সাবেক কেজিবি স্পাই আলেকজান্ডার লেবেদেভের মস্কো থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র এ দাবি করেছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন তার স্ত্রী লিউডমিলাকে ডির্ভোস দেন।
রাশিয়ার ‘মোস্ট ফ্লেক্সিবল ওম্যান’ হিসেবে খ্যাত আলিনা কাবায়েভা রুশ পার্লামেন্টের একজন পুতিনপন্থি সদস্য ছিলেন। তিনি ৬ বছর ধরে পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি থেকে এমপি ছিলেন। ২০১৪ সালে একটি জাতীয় মিডিয়া গ্রুপ চালানোর জন্য বার্ষিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেতনে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে আলিনাকে নিজের প্রেমিকা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও দ্য গার্ডিয়ানের মতো বেশকিছু গণমাধ্যম তাকে পুতিনের প্রেমিকা হিসেবেই দাবি করে থাকে।
কাবায়েভাকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে মস্কোতে ডিভাইন গ্রেস রিদমিক জিমন্যাস্টিকস টুর্নামেন্টে নাচার সময় তিনি শেষবার ক্যামেরাবন্দী হন।
কাবায়েভা ২০০৪ সালের অলিম্পিকে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে সোনা জিতেছিলেন।