বছর পঞ্চাশের এক যাজককে ছুরি মেরে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক, ২২ মার্চ ।। বিদ্বেষ কমছে না। তাতে হাওয়া দেওয়া হচ্ছে নতুন করে। সংখ্যালঘু মুসলিমরা তো নিশানাতে আছেই এবার বছর পঞ্চাশের এক যাজককে ছুরি মেরে হত্যা করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ে। খুনের মুখে ছিল মুখোশ। পুলিশ মাওবাদীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর তালে রয়েছে। তবে খ্রিস্টানরা সন্দেহ করছে যে তাকে বিদ্বেষী হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা খুন করেছে।

মার্কিন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান কনসার্ন শনিবার জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা যাজক ইয়াল্লাম শঙ্করের বাড়িতে ঢুকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়।তিনি থাকতেন বিজাপুর জেলার আঙ্গামপল্লী গ্রামে। সেখানেই তাঁকে ছুরি মেরে হত্যা করে। স্বাবিকভাবেই গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ। তার স্ত্রী, দুই ছেলেকে এবং নাতি-নাতনিরা শোকবিহ্বল। স্থানীয় খ্রিস্টানদের মতে, যাজককে তার ধর্ম প্রচারের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী গুন্ডারা শাসিয়ে গিয়েছিল। তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল।

বস্তার ফর ক্রাইস্ট মুভমেন্ট (বিএমসি) চার্চের একজন সিনিয়র যাজক ছিলেন ইয়াল্লাম শঙ্কর। তিনি বিদ্বেষী কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের থেকে খ্রিস্টানদের রক্ষার জন্য প্রানপন চেষ্টা করতেন । আর সেই কাজ করতে গিয়েই শেষে প্রাণটাই দিতে হল বলে মনে করছেন অনেকেই। তিনি একসময় ওই গ্রামের প্রধান ছিলেন। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল।

এই এলাকার বিদ্বেষী হিন্দুরা খ্রিস্টানদের অনেকদিন ধরেই চাপে রাখছে। তাদের নানাভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। তারা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় কাজে বাধা দিচ্ছে। বেশ কয়েকবার যাজক শঙ্কর উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কাছ থেকে খ্রিস্টানদের বাঁচাতে চেষ্টা করেছিলেন। তাই হয়ত প্রাণ দিয়ে তার খেসারত দিতে হল। পুলিশ বিষয়টিকে মাওবাদীদের দিকে চালানোর চেষ্টা করলো স্থানীয় খ্রিস্টানরা মনে করে নিজেদের জাতীয়তাবাদী হিন্দু বলে দাবি করা মৌলবাদী হিন্দুদের হাতে প্রাণ গেছে যাজক শঙ্করের।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *