তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন

অনলাইন ডেস্ক, ২২ মার্চ ।। রামপুরহাটে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। দগ্ধ অবস্থায় কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার থেকেই রামপুরহাটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এদিন রাতে বরশাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খুন হন। এরপর রাতেই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে পরপর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার ফলে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। একজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপপ্রধান খুনের পর পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে রাতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু তাও পরপর কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পুলিশ থাকা সত্তেও কীভাবে বাড়িতে আগুন লাগল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সকালে দমকল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তখনই মৃত্যুর খবর জানা যায়।

ঘটনার জেরে গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, রাজনৈতিক অশান্তি ছড়ানোর পর থেকে পুলিশকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বীরভূম যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার পর তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কিচু জানানো হয়নি বা কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

এদিকে রামপুরহাটের ঘটনার জেরে উস্কে উঠেছে ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়ার ঘটনা। তৎকালীন সিপিআইএম জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গ্রামে রাজনৈতিক হামলা হয়। ১১ জনকে পুড়িয়ে খুন করা হয়। নিহতরা টিএমসির সমর্থক। অভিযুক্ত সিপিআইএম।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *