আগরতলা, ১৮ ডিসেম্বর : মাটির স্বাস্থ্য, পুষ্টির ঘাটতি ইত্যাদি কাটিয়ে ওঠার বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শ সহ জমিতে শস্য নির্বাচন, মানচিত্র তৈরি করা এবং কৃষকদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বুধবার আগরতলায় নজরুল কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা ভূমি ব্যবহার, পরিকল্পনা এবং সমীক্ষা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইসিএআর এর নেশন্যাল ব্যুরো অফ সয়েল সার্ভে এবং ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা আঞ্চলিক কেন্দ্র জোড়হাটের উদ্যোগে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, সচিব অপূর্ব রায় সহ অন্যান্যরা।
এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে জমির গুণগতমান পরীক্ষা করা হবে। কারণ আগামী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষিত জমিতে কোন ধরনের ফসল ফলানো যায় তা বিবেচনা করে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে কৃষিকাজ করতে হবে। মন্ত্রী জানান, বর্তমান সময়ে ডেভলপমেন্ট বা উন্নয়নের কথা কেউ বলে না। সবাই বলে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বা টেকসই উন্নয়ন।এই নিয়ে গোটা বিশ্বেই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এই সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য নীতি আয়োগ ১৩টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরার মাটির উর্বরা শক্তি ভালো। তথ্য দিয়ে তিনি জানান, রাজ্যে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ২৯৯ কেজি ধান উৎপন্ন হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে ত্রিপুরা।
কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে রাজ্যের দক্ষিণ জেলা, গোমতী জেলা এবং সিপাহীজলা জেলা খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ম্বর। খোয়াই, ধলাই এবং ঊনকোটি জেলায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এই সমস্ত জেলায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জোড় দিতে হবে। এদিনের কর্মশালায় ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে কৃষকদের নিয়ে ছোট ছোট কর্মশালা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।