অনলাইন ডেস্ক , ২১ মার্চ।। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে দেশটিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার ওয়াশিংটনের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম পরিদর্শন করবেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর একটি প্রদর্শনী হচ্ছে।
এ সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন।
দায়িত্ব গ্রহণ ও এ বিষয়ে পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ১৪ মাস পর কোনো সিদ্ধান্ত দিতে যাচ্ছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালের জাতিসংঘের একটি ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন’ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কাজ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে উল্লেখ করে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারে সামরিক দমন-পীড়নের ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করে।