অনলাইন ডেস্ক, ১৮ মার্চ।। মহামারী পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ভুল পদক্ষেপ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি ঝাং জুন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
ঝাং জুন বলেন, পূর্বেও আমরা দেখেছি, নিষেধাজ্ঞার ব্যবহার কোনো সমস্যার সমাধান করেনি উল্টো নতুন সমস্যা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমাদের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট প্রকট হবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জীবিকার ক্ষতি করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন জাতিসংঘের অন্য দেশগুলোর মতো ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চায়। আমরা আশা করি সব পক্ষ শান্তি আলোচনা জোরদারে সহায়তা করবে এবং আগুনে ঘি ঢালবে না।
বৈশ্বিক পরিমন্ডলে রাশিয়ার অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র চীন। অর্থনৈতিক, সামরিক থেকে শুরু করে প্রায় সবক্ষেত্রেই তাদের অবস্থান এক বিন্দুতে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করা পর চীন পড়েছে বেকায়দায়। যুদ্ধবিরতির পক্ষে হলেও বেইজিং এখনও রাশিয়ার এ আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি।
ওদিকে, বিশ্বে প্রায় একঘরে রাশিয়া। যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানাচ্ছে সব দেশই। মস্কোর পাশে রয়েছে একমাত্র চিন ও বেলারুস। তাদের উপরেও চাপ বাড়ানো হচ্ছে। গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে রাশিয়াকে। না-হলে তাকে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হবে। একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় এমনিতেই জেরবার রাশিয়ার অর্থনীতি। শীঘ্রই রাশিয়ায় আর্থিক মন্দা নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় কাল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ ঘোষণার প্রেক্ষিতে তারা সমঝোতা করতে রাজি। শান্তি চুক্তিরও ইঙ্গিত মিলেছিল পুতিনের কথায়। যদিও আজ যুদ্ধ বন্ধের কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না।