বাংলাদেশের অস্থিরতার মধ্যে বেআইনী অনুপ্রবেশ রুখতে সাব্রুম মহকুমায় কঠোর নজরদারি

সাব্রুম, ২৬ জুলাই : বাংলাদেশের অস্থিরতার মধ্যে বেআইনী অনুপ্রবেশ রুখতে ত্রিপুরা সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে, অন্যদিকে পুলিশ নাকা চেকিংয়ের ব্যাবস্থা করেছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ প্রশাসন এই পরিস্থিতিতে কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। সাব্রুম মহকুমার জলেফা শিববাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ, টিএসআর এবং সাব্রুম থানার পুলিশ যৌথভাবে নাকা চেকিং পয়েন্ট তৈরী করেছে।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন ঘিরে চলা অস্থির অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাব্রুম সীমান্তকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চোরাই পথে অনুপ্রবেশের ঘটনার প্রবণতা লক্ষ্য করে সাব্রুম মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা এলাকার তিনটি জায়গায় যৌথ নাকা পয়েন্ট তৈরি করে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি।

সাব্রুম মহকুমার পোয়াংবাড়ি, মাধবনগর এবং জলেফাতে রয়েছে এই তিনটি নাকা পয়েন্ট। পুলিশের সাথে সাথে টিএসআর এবং বিএসএফ – এর জওয়ানরা সড়কে চলমান প্রত্যেকটি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালিয়ে দেখছেন তাতে বাংলাদেশী নাগরিক কিংবা বিদেশে পাচার করার জন্য কোন চোরাই সামগ্রীর হদিশ পাওয়া যায় কিনা।

এ প্রসঙ্গে সাব্রুম মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার জানান, গত ২০২৩ – ২৪ অর্থবর্ষে সাব্রুম মহকুমা এলাকায় মোট ৮০ জন বাংলাদেশী নাগরিক যারা বাঁকা পথে ভারতে প্রবেশ করে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ প্রশাসন সহ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা এবং এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় চলছে ১১ টি মামলা। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় পাচারকার্যের জন্য নিয়ে আসা এক ১লক্ষ ৪ হাজার ৫০০ কেজি চিনি, ৩৫০ গ্রাম হেরোইন, ৩২৯ কেজি গাঁজা, ১১৭ বোতল এসকাফ সিরাপ এবং ৮৫০ কেজি পেঁয়াজ আটক করতে সক্ষম হয় সাব্রুম মহাকুমা পুলিশ প্রশাসন।

এছাড়াও সীমান্তে মানব পাচারের সাথে যুক্ত ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং আরো সন্দেহভাজন ১৮ জনের নামের তালিকা রয়েছে সাব্রুম মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের হাতে। সাব্রুম রেলস্টেশন এবং ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছে নজরদারির ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে অনাকাঙ্খিত অনুপ্রবেশ রুখতে এক কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা সাব্রুম মহাকুমাকে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *