আগরতলা, ২৫ মার্চ।। মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক শ্যামল চৌধুরীর জীবনাবসান হয়েছে। প্রয়াত শ্যামল চৌধুরী ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পিতা। রবিবার সকালে আগরতলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। শ্যামল চৌধুরীর প্রয়াণে রাজ্যের সাহিত্যিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী পিতা শ্যামল চৌধুরীর প্রয়ানের খবর পেয়ে শোক জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। সমবেদনা জানান পরিবারের লোকজনদের প্রতি। তাছাড়া রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য সহ রাজনৈতিক ও সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রাজ্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্যামল চৌধুরীর প্রয়াণে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডি নান্নু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রয়াত শ্যামল চৌধুরীর আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি প্রয়াত শ্যামল চৌধুরীর পরিবার, ঘনিষ্ঠ আত্মিয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবগণ এই অপূরণীয় ক্ষতি যাতে সামলে উঠতে পারেন সেজন্য ভগবানের কাছে প্রার্থণা করেছেন।
রাজ্যপাল শোকবার্তায় বলেছেন, ‘পরিবহণ, পর্যটন, খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পিতা শ্যামল চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। শ্যামল চৌধুরী একজন প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক ছিলেন যাকে বাংলাদেশ সরকার ‘মুক্তিযোদ্ধা মৈত্রী’ সম্মানে ভূষিত করেছিল। শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে বিশেষ সাহিত্য সংস্কৃতি পুরস্কার সহ বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।