আগরতলা, ১৩ মার্চ।। রাজ্য সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। বর্তমানে বহিরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে শিল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। যা বিগত দিনে লক্ষ্য করা যেতো না। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। রাজ্য সরকারও শিল্প গড়তে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছে। আজ আগরতলার অরুন্ধতীনগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এখন শিল্প স্থাপনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তাই রাজ্যের যুবক যুবতীরা এখন শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হচ্ছেন। রাজ্য সরকারও প্রতিনিয়ত তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিকাশ না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর পূর্বাঞ্চলের সার্বিক বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশেও উদ্যোগ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে কাজ করছে। রাজ্যের রাবার ও বাঁশকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে তৈরি বাঁশের টাইলস নয়াদিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যে পর্যটন ও সংস্কৃতির হাব গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আজই এই হাবের শিলান্যাস করা হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামীদিনে শিল্পের হাবও গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিল্পের বিকাশ হলে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হবে তেমনি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শিল্পের বিকাশে এখন ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমও (টিআইডিসি) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক বলেন, বর্তমানে অরুন্ধতীনগর এলাকা আগের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর। রাজ্যের প্রতিটি শিল্প এলাকায় এখন নতুন নতুন শিল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে রাজ্যে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যে শিল্প গড়ে তুলতে যুব ত্রিপুরা- নতুন ত্রিপুরা-আত্মনির্ভর ত্রিপুরা প্রকল্পে ৬৪৬ জন সুবিধাভোগীকে ২৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ডুকলিতে একটি লজিস্টিক হাব গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা শিল্পোন্নয়ন নিগমের জেনারেল ম্যানেজার পরিমল দেববর্মা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মিনারাণী সরকার। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর প্রসেনজিৎ লোধ।