আগরতলা, ১২ মার্চ।। রাজ্যের মহিলাদের স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বসহায়ক দলগুলির সাথে যুক্ত করে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে। আজ আগরতলা টাউনহলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা একথা বলেন।
সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভার উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায়। আলোচনাসভায় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে মহিলাদের এগিয়ে আসতে হবে। সেই লক্ষ্যেই মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলা হচ্ছে।
আলোচনাসভার উদ্বোধন করে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, মহিলাদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিকশিত ভারত নির্মাণ সম্ভব নয়। মহিলাদের কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। তিনি বলেন, সংকল্প নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। রাজ্যে মহিলারা বিভিন্ন সরকারি সহায়তায় আত্মনির্ভর হয়ে উঠছেন। ইতিমধ্যেই স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত রাজ্যের ৮৩ হাজার মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন।
আলোচনাসভায় বিধানসভার সরকারি মুখ্যসচেতক বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায় বলেন, নারী ক্ষমতায়নকে ভিত্তি করে সমাজ নিরন্তর বদলাচ্ছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে। মহিলাদের বাদ দিয়ে সমাজ, রাজ্য ও দেশ কোনোভাবেই সমৃদ্ধ হতে পারে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও, সুকন্যা সমৃদ্ধি, লাখপতি দিদি প্রভৃতি যোজনার লক্ষ্য হলো মহিলাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। আলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মিনারাণী সরকার, পদ্মশ্রী স্মৃতিরেখা চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত বাদল নেগি প্রমুখ।
আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরে যুগ্ম অধিকর্তা বিজন চক্রবর্তী। আলোচনাসভার শুরুতে মহিলা স্বশক্তিকরণের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। আলোচনাসভার শেষে বিভিন্নভাবে সফল মহিলাদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।