বিলোনিয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারী।। বিজেপি সরকারের আমলে কৃষকরা ঢালাও হারে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তাতে সহ্য হচ্ছে না। এক শ্রেনীর লোক সরকারকে কৃষি যন্ত্রপাতির বিতরণের ক্ষেত্রে কালিমা লিপ্ত করার জন্য দুর্নীতির অভিযোগ আনতে চাইছে। কিসের দুর্নীতি? প্রকৃত কৃষকেরাই তো পাচ্ছে সুযোগ সুবিধাগুলো। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দক্ষিণ জেলা পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিমত ব্যক্ত করেন দক্ষিণ জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি বিভীষণ চন্দ্র দাস।
শ্রী দাস আরও বলেন, কেন্দ্র ও ত্রিপুরা সরকার কৃষকদের স্বার্থে, কৃষি কাজের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছে। সেই মোতাবেক দক্ষিণ জেলা পরিষদ কৃষকদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এসএমএম প্রকল্পে প্রায় দুই কোটি টাকার উপরে কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে ধান সহ বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে দক্ষিণ জেলায় উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের আরো উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এর আগে কৃষকেরা সুযোগ সুবিধা পায়নি।
বিভীষণ চন্দ্র দাসসাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানান,জেলা পরিষদ এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার স্বচ্ছতার সাথেই কাজ করে যাচ্ছে । কোন রকম দুর্নীতির প্রশ্নই উঠে না। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দক্ষিণ জেলায়১৫০০ এর উপরে স্প্রে মেশিন, ১০০ কোপা মেশিন, ৪০০ উইডার মেশিন,, এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি মূল্যে ৪০ টি ট্রাক্টর সহ মিনি ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাত্রী কৃষিজীবী পরিবারের সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। দক্ষিণ জেলা সাতটি বিধানসভা এবং আটটি ব্লক এলাকা থেকে নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা জেলা পরিষদের কাছে জমা দেওয়া হয়। তারপর জেলা পরিষদ থেকে এগুলি অনুমোদন করে দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের আধার কার্ড নামের তালিকা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তা বিলিবন্টন করা হয়। এখনো বেশ কিছু সুবিধাভোগী তাদের দেওয়া কৃষি যন্ত্রপাত্রী সংগ্রহ করেননি। ধাপে ধাপে নিয়ে যাচ্ছেন। ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাত্রী দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন দুী্নীতি হয়নি। তিনি আরো জানান সাব্রুম এলাকায় একই পরিবারের দুইজন মিনি ট্রাক্টর পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের পরিবারের লোক সংখ্যা অনেক। বড় পরিবার। তারা আলদা আলাদা জমিতে কৃষি কাজ করে। রেশন কার্ড আলাদা হয়নি। এই বিষয়টি জেলা পরিষদের নজরে আসার পর তা সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিভীষণ চন্দ্র দাস। কোথাও কোন ত্রুটি থাকে তা অবশ্যই সংশোধন করে নেয়া হবে। দুর্নীতির কোন প্রশ্নই উঠে না। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত।