আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারী।। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির এক বর্ণময় ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। আমাদের অষ্টলক্ষ্মীর ভাষা সংস্কৃতি সবকিছু আলাদা হলেও আমরা একে অপরের পরিপূরক। আজ পূর্বাশা আরবান হাট প্রাঙ্গণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় ৪দিনব্যাপী সপ্তম উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুব উৎসব-২০২৪’র উদ্বোধন করে একথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া ও বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায়।
উৎসবের উদ্বোধন করে ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খেলাধুলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, বিগত কেন্দ্রীয় সরকারের সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যুব সমাজ থেকে শুরু করে প্রত্যেক নাগরিক নানা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অগ্রগতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি ৪দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই যুব উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াও ৪দিনব্যাপী উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুব উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের সাফল্য কামনা করেন। তিনি সকলকে অভিনন্দন জানান এবং এই উৎসব উপভোগ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিকর্তা বনিতা সোদ ও বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ।
সপ্তম উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুব উৎসবের মূল ভাবনা হচ্ছে ‘আনলকিং দা পোটেনশিয়েল অব দা যুবশক্তি (পাওয়ার অব দা ইয়থ) ইন নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া’ ও ‘আমার ভারত বিকশিত ভারত’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় ও সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া সহ অন্যান্য অতিথিগণ পূর্বাশা আরবান হাটে যুবকৃতি’র বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টলগুলির উদ্বোধন করেন ও স্টলগুলি পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সহ ৮টি রাজ্য থেকে আগত যুব শিল্পীগণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। পরিবেশিত হয় এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত, বিকশিত ভারত থিম ডান্স।