যুব সম্প্রদায়কে দেশের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে : ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

আগরতলা, ১২ জানুয়ারি।। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন যুগস্রষ্টা। স্বামীজী ১৮৯৩ সালে আমেরিকার চিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলনে ভারতের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও হিন্দুধর্মের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেছিলেন। যা বিশ্বকে অভিভূত করেছিল। আজ আগরতলার বিবেক উদ্যানে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী ও জাতীয় যুব দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং একথা বলেন।

তিনি বলেন, যুব সম্প্রদায়কে স্বামীজীর আদর্শ, মত ও পথকে অনুসরণ করে দেশের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিশিষ্টজন স্বামীজীর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে ও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও ধ্যানধারণা পরিহার করে স্বদেশীয় ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হবার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। স্বামীজী বলেছেন, দেশের জনগণের উন্নয়ন না হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে না। তাই সর্বাগ্রে চাই দেশের সেবা। যুব সম্প্রদায়কে দেশের সেবায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ত্রিপুরা পুলিশ অ্যাকাউন্টেবিলিটি কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি এসসি দাস বলেন, স্বামীজীর জীবনই একটি বাণী। তিনি সারাদেশ পদব্রজে ভ্রমণ করে দেশের শৌর্য, বীর্য ও পরম্পরার কথা প্রচার করে গেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বামীজীর প্রতিটি বাণী সমাজ ও দেশ গঠনে মেনে চলেন। তাই তাঁর চিন্তাধারার মধ্যে দূরদৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়। তিনি যুব সম্প্রদায়কে স্বামীজীর আদর্শ অনুসরণ করে প্রকৃত মানুষ ও পরোপকারী হবার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী শুভকারানন্দজী মহারাজ। তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে যুবকদের আইকন বলে আখ্যায়িত করে বলেন, যুব সম্প্রদায়কে স্বামীজীর ভাবধারায় দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং বিবেকজ্যোতি প্রজ্জ্বলন করেন ও যুব মহামন্ডলের পতাকা উত্তোলন করেন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী ও জাতীয় যুব দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকালে এক শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিবেক উদ্যান সংরক্ষণ সমিতির সভাপতি জ্যোতিলাল চক্রবর্তী।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *