স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ২৪ ফেব্রুয়ারী।। আবারো সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান গেলো সরকারী চাকুরি প্রত্যাশী এক জনজাতি যুবককের। ঘটনা উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানার অন্তর্গত চন্দ্রপুর কলোনি এলাকায় ৮নং জাতীয় সড়কে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় আজ স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদর খুমলুঙে চাকুরি ইন্টারভিউ ছিলো।
সেই মোতাবেক সুমন জমাতিয়া, অমিত দেববর্মা ও মিলন দেববর্মা তিনজনে টি আর জিরো এইট বি -৭১৬১বাইক নিয়ে খুমলুঙে ইন্টারভিউ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। অপর দিকে একটি স্কুটিতে তাদের সাথে তিনজন চাকুরি প্রত্যাশীও গিয়ে ছিলো। যদিও তাদের কিছু হয়নি ।
সুমন,অমিত ও মিলন উদয়পুর চন্দ্রপুর কলোনি আসা মাত্রই পেছন দিক থেকে একটি মাল বোঝাই লড়ি ওভার টেক করতে গিয়ে সজোরে সুমনের বাইকে ধাক্কা মারে,সাথে তিন জনই জাতীয় সড়কে লুটিয়ে পড়েন । এমন সময় লড়ির পেছনের চাকার নীচে সুমন জমাতিয়ার মাথা ঢুকে পড়ায় সাথে সাথে সুমনের মাথার খুলি ও ধর আলাদা হয়ে পড়ে।
ঘটনা স্থলে প্রান হারান সুমন জমাতিয়া। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ উদয়পুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের খবর দিলে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আহত অমিত দেববর্মা ও মিলন দেববর্মাকে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্য রত চিকিৎসক অমিত দেববর্মার অবস্থা বেগতিক দেখে আগরতলা জি বি হাসপাতালে রেফার করেন।
মিলন দেববর্মা গোমতি জেলা হাসপাতালের পুরুষ শল্য চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি আছেন। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ উগড়ে।পড়ে পুলিশের উপর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে মৃত সুমনের নিথর দেহ জাতীয় সড়কে পরে থাকে। তাকে মর্গে পাঠানোর কোন ব্যবস্থা করেনি বলে জনগণ উত্তেজিত হয়ে ওঠে ।
পরবর্তীতে পুলিশ পুলিশ সুমনের মৃতদেহ টেপানিয়া স্থিত গোমতী জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান। সুমনের বাড়ি শান্তিরবাজার মহকুমা বীরচন্দ্র বটতলা এলাকায়। আগামী কাল ময়নাতদন্তের পর সুমনের মৃতদেহ নিকট আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে । উদয়পুর, চন্দ্রপুর কলোনি ও শান্তির বাজার থানা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
সংশ্লিষ্ট মহল থেকে উত্তোরোত্তর যান সন্ত্রাসে মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় । মৃত সুমনের বন্ধু ও প্রতিবেশীরা চালক ও ঘাতক লরিটি আটকের দাবি করেন। রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন ।