সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর।। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সমাজের অন্তিম ব্যক্তিদের অবহিত করতে গত ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। সেই সাথে জনসাধারণের কাছে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা সুনিশ্চিত করতে শুরু হয়েছে প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযান। এই দুই কর্মসূচিতে মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধিদেরও প্রশাসনিক কাজের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে।

আজ রাজ্য সরকারি অতিথিশালায় আয়োজিত পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানের পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন কৃষি ও কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে। সভায় উভয় কর্মসূচি সম্পর্কে অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষ চন্দ্র সাহা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জেলার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় ১৭টি গ্রামীণ ও শহুরি কেন্দ্রীয় প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানে ৩৬টি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা এবং ১৪টি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক বিকাশ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, জেলায় প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ১০০ শতাংশ সাফল্য সুনিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের পাশে নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সভায় কৃষিমন্ত্রী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জন্য একটি রোড ম্যাপও তুলে ধরেন। সভায় কৃষিমন্ত্রী মান্দাই ব্লকের জল জীবন মিশন কর্মসূচিকে আরও অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পরামর্শ দেন।

সভায় সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতিঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানে আয়োজিত শিবিরগুলিতে রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরকে অংশ নিতে হবে। তাহলেই এই দুই কর্মসূচি সফল হবে। সভায় পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, বিধায়করতন চক্রবর্তী, বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, বিধায়ক স্বপ্না দেববর্মা সহ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও বিএসির চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষ চন্দ্র সাহা, বিভিন্ন মহকুমার মহকুমা শাসক এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *