দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভ এবং ডেরহাচি উদ্ধার করল ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক, ১০ মার্চ ।। ১৫ দিনে পা দিল রাশিয়া-ইউক্রেনের লড়াই। রুশ গোলায় গুঁড়িয়ে যাচ্ছে একের পর এক ইউক্রেনীয় শহর। এর মাঝেই প্রত্যাঘাত করছে ইউক্রেন। তাদের দাবি, রাশিয়ার হাত থেকে দুটি বড় শহর ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। যদিও রাশিয়ার তরফে এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।

রাশিয়ান সেনাদের হাত থেকে দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভ এবং ডেরহাচি উদ্ধার করল ইউক্রেন। এমনই দাবি করলেন খারকিভের রিজিওনাল মিলিটারি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর প্রধান ওলে সিনেহুবব।

টেলিগ্রাম-এ তিনি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনা ডেরাচি থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিয়ে নিজেদের দখলে নিয়েছে’। তিনি আরও জানিয়েছেন, খারকিভও পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন বাহিনী। গোটা খারকিভ এবং ডেরহাচি শহরকে ঘিরে রেখেছিল রুশ সেনারা। সমানে চলছিল গোলাবর্ষণ।

তবে, শত্রুপক্ষকে পাল্টা হামলায় নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে শেষমেশ রুশ সেনারা পিছু হটেছে বলে দাবি সিনেহুববের।

ইউক্রেন সেনার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর পুনরুদ্ধারের সময় সংঘর্ষে শত্রুপক্ষের বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার খারকিভের উপর প্রায় ৫০টি গোলাবর্ষণ করেছে রুশ সেনারা। জনবসতি এলাকায় বোমাবর্ষণে সাত বছরের এক শিশু-সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরে সবচেয়ে বেশি বোমাবর্ষণ করেছে রুশবাহিনী। উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের এই শহর লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক (একত্রে যাদের ডনবাস বলা হয়) শহরের গা ঘেঁষা। এবং রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে।

এদিকে ইউক্রেনের মারিওপোলে একটি শিশুদের হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। বোমার আঘাতে কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন অনেকে।

ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধানের দাবি, গত ১৪ দিনে অন্তত ১২০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এদিন নিজেদের ফেসবুক পেজে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে ধরেছে ইউক্রেনের সেনা।

ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে ৩১৭ রুশ ট্যাঙ্ক, ১০৭০ সাজোঁয়া গাড়ি, ১২০ কামান, ২৮ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪৯টি যুদ্ধবিমান, ৮১ হেলিকপ্টার, ৩টি জাহাজ এবং একাধিক জ্বালানি পরিবহণকারী ট্যাঙ্কও।

সবমিলিয়ে ১৪ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়েও এখনও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। উল্টো বিরাট ধাক্কা খেয়েছে পুতিনবাহিনী।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *