স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর: নিজের ১৫ বর্ষিয়া নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত বাবাকে জেল জরিমানার সাজা দিলেন পশ্চিম জেলার বিশেষ আদালতের স্পেশাল (পক্সো) জজ শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। আসামি পশ্চিম থানাধীন দক্ষিণ রামনগরের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক মিয়া। আসামি এতটাই বিকৃত মস্তিষ্কের যে নিজের মেয়েকে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় সে তার নিজের ঘরে নিজেই আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় সব জিনিসপত্র।
ঘটনা ২০২২ সালের ৭ মে রাত এগারোটা নাগাদ। সেই রাতে আসামি তার মেয়ের ঘরে ঢুকে মুখে চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু নির্যাতিতার মা বিষয়টি দেখতে পেয়ে মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় এগিয়ে আসেন। ফলে আসামি রফিক মিয়া তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে সেই রাতে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। লোক লজ্জার ভয়ে নির্যাতিতা মেয়েটি ও তার মা মুখ বুজে থাকে। কিন্তু প্রায় এক পক্ষ কাল বাদে রফিক মিয়া বাড়িতে ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের সাথে অহেতুক ঝগড়া শুরু করে এবং প্রতিশোধস্পৃহায় নিজের ঘরে নিজেই আগুন লাগিয়ে দেয়।
এরপরই রফিক মিয়ার স্ত্রী আইনের দারস্ত হয়ে পুরো ঘটনা জানিয়ে পশ্চিম মহিলা থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ মূলে পুলিশ মামলা (নং -১৪/২০২২) নিয়ে তদন্তে নামে এবং মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী মহিলা ইন্সপেক্টর মুন্না মজুমদার। যদিও বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতে আসামে জামিনে মুক্তি পেয়ে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
কিন্তু পরবর্তী সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে জেল হেফাজতে রেখেই পুরো বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই মামলায় আদালতে মোট ১০ জন সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত হয়। উভয় পক্ষের শওয়াল জবাব শুনে ও সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে বিশেষ আদালতের স্পেশাল জজ রফিক মিয়াকে আই পি সির ৩৫৪( বি ) ও পকসো আইনের ১০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি নগদ কুড়ি হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন