বিভিন্ন প্রকল্প সঠিক রূপায়ণের মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ১৭ জুলাই।। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প সঠিক রূপায়ণের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। উত্তর ত্রিপুরা জেলায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় আজ এই অভিমত ব্যক্ত করেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এই পর্যালোচনা সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করে তোলা। এর জন্য দপ্তরের আধিকারিকদের আরও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, বেকার যুবক যুবতীদের ঋণ দিয়ে দেওয়া মানেই দপ্তরের কাজ শেষ নয়। তারা ঋণ নিয়ে কি করছে, স্বাবলম্বী হতে পারছে কিনা, যে প্রকল্পে ঋণ নিয়েছে সেই প্রকল্প তারা বাস্তবায়ণ করতে পারছে কিনা, এগুলি দপ্তরের আধিকারিকদের যাচাই করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাথে সমন্বয় করে যৌথভাবে সুবিধাভোগীদের প্রকল্পগুলি পরিদর্শন করতে হবে। সভায় টিআইডিসি’র চেয়ারম্যান নবাদল বণিক বলেন, বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভিন্নতা নিয়ে আসতে হবে। সময়োপযোগী কোর্স যেমন ভিডিওগ্রাফি, অ্যাকাউন্টিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনির্বাণ দত্ত জানান, চলতি অর্থবছরে ৪৪১ জনকে স্বাবলম্বন প্রকল্পে ঋণ প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এদিনের সভায় ধর্মনগর ও দেওয়ানপাশা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলি দ্রুত রূপায়ণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়াও জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় (পিএমকেভিওয়াই-৪০) চলিত বছরে ৫২৭ জনকে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ৩০০ জনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ৪০ জনকে আগর ওড চিপ কাটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জল জীবন মিশনে ২৫৫ জনকে প্লামবার ও অ্যাসিস্টেন্ট ইলেকট্রিশিয়ান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, জেলাশাসক ও সমাহর্তা নাগেশ কুমার বি, উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও বিএসি’র চেয়ারম্যানগণ, অতিরিক্ত অধিকর্তা সুভাষ দাস, স্কিল ডেভেপলমেন্টের অধিকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী, ধর্মনগর মহকুমার মহকুমা শাসক বিবেক এইচ বি, পানিসাগর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ আচার্য, উত্তর ত্রিপুরা জেলার আটটি ব্লকের বিডিওগণ, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *