স্টাফ রিপোর্টার, মেলাঘর, ২ জুন।। আগুন এবার ধরা পরেছে মেলাঘরেই। গ্রামের নাম দেবনগর। বাম আমলের লাল দূর্গ। সোনামুড়া বিধানসভার ২৫ নাম্বার বুথ তথা মেলাঘর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড। কাউন্সিলরের নাম হিমাংশু দাস, মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের শালা বলে বিখ্যাত। বিগত দশকের পর দশক প্রত্যেকটা বিধানসভা নির্বাচনে এই বুথে বামবিরোধী ভোটের হাল এতটাই খারাপ ছিলো যে এই বুথে কংগ্রেস দল পুলিং এজেন্টই খোজে পেতোনা।
কিন্তু বিজেপির অদম্য সাংগঠনিক প্রভাবে গত ১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ততকালীন বুথ সভাপতি মানিক সরকারের সভাপতিত্বে এই বুথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অতি নগন্য মার্জিনে সিপি আই এম এই বুথে জয় পেয়েছিলো। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভার পর মন্ডল সভাপতির শালা তথা অথর্ব ভ্রষ্টাচারের রচয়িতা জনৈক কাউন্সিলর এর অনুরোধে এই বুথে বুথ সভাপতি করা হয় সঞ্জীত বর্মনকে, যিনি কাউন্সিলরের আপন পিসতুতো ভাই। তারপর থেকেই সিপি আই এমের পোয়া বারো। কারন এই সঞ্জিত বর্মন আর কেউ নন, ইনি হলেন সিপি আই এমের মেলাঘর লোকাল কমিটির মেম্বার।
এইভাবে একজন সিপি আই এমের ভারা করা নেতাকে না মানতে পেরে এই বুথের অনেক দুর্দিনের কার্যকর্তা আজকে বিজেপি দলের উপর বিক্ষোব্ধ। এদের মধ্যেই একজন হলেন মহিলা মোর্চার বুথের কনভেনার সুনতি বর্মন। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার নির্বাচনে বিজিত বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্যের নির্দেশে মানিক সরকার সুনতি বর্মন দের নেতৃত্বেই এই বুথে ইতিহাসে প্রথমবার বিজেপি জয় লাভ করেছে।
তার পুরুস্কার স্বরুপ এই বুথের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুন:রায় মানিক সরকারকেই বুথ সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলো জেলার বুথ স্বশক্তিকরন টিম, কিন্তু দাদা দিদির লড়াইয়ে মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস পুন:রায় এই এল সি এম সঞ্জীব বর্মনকেই বুথ সভাপতি করার ঘোসনা দিলে, গোষ্ঠী কোন্দল চরম সীমায় এসে পৌছেছে এই দেবনগর অঞ্চলে। আজ তারই ফল স্বরুপ এলাকার একমাত্র অংগনওয়ারী কেন্দ্রের দরজায় তালা দিলো একদল বিজেপি সমর্থীত এলাকাবাসী। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, দেবনগর অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের সহায়িকা পদটি খালি হওয়াতে বুথ সভাপতি ক্ষমতার জোরে নিজের স্ত্রিকে এই সেন্টারের সহায়িকা পদে নিয়োজিত করে দেয়। না কোন নিয়োগ বিধী আর না কোন সালিসি সভা।
এভাবে অবৈধ নিয়োগের প্রতিবাদে সুনতি বর্মন প্রথম তালা ঝোলালে, কাউন্সিলর হিমাংশু বর্মন সেন্টারের শিক্ষিকাকে ফোন করে ধমকিয়ে ঐ অবৈধ নিয়োগকেই মান্যতা দিয়ে সেন্টার কাজ চালানোর আদেশনামা জারি করেন। এই খবর সাধারণ কার্যকর্তাদের মাঝে সাউর হতেই, খোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পরে। ততক্ষণে আবার তালা পরে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এলাকাবাসীর দাবী বৈধভাবে নিয়োগ হলেই সেন্টারের তালা খোলা হবে।