অনলাইন ডেস্ক, ৮ মার্চ।। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে রাশিয়া। এই কঠিন সময়ে বন্ধু রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল চীন। কোনও রকম রাখঢাক না করেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ জানিয়েছেন, চীন ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব অত্যন্ত ‘দৃঢ়’।
এক মাস আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতা জানিয়েছিলেন, দুদেশের বন্ধুত্ব ‘শর্তহীন’। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাশিয়া এবং চীনের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। দুই দেশের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাবনা বিপুল। চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক’।
তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক বেইজিং। তার কথায়, ‘শান্তি স্থাপনে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাই। প্রয়োজন হলে মধ্যস্থতা করতেও আপত্তি নেই’।
রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে চীনকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের প্রধান জোসেফ বোরেল গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে চীনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেওয়া উচিৎ।
একই মত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনেরও। তিনি বলেছেন, ‘চীন বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে বিশ্বের শান্তি ও স্থায়িত্ব রক্ষায় তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তা হলে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে চীন মধ্যস্থতা করুক’।
২২টি কূটনৈতিক মিশনের প্রধান গত ১ মার্চ চিঠি লিখে পাকিস্তানের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, ইসলামাবাদ যেন জাতিসংঘে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। কাল তা নিয়ে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের ক্রীতদাস… যা বলবেন তাই করব?’
জাতিসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত ছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘ভারতকে আপনারা এই ধরনের চিঠি লিখতে পারবেন?’ ইমরান খান জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে, পাকিস্তান আমেরিকারও বন্ধু। পাকিস্তান কোনও বিশেষ শিবিরভুক্ত নয়।