মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই থামতে হয়েছে পর্তুগালকে, রোনালদো মাঠ ছেড়েছেন কাঁদতে কাঁদতে

অনলাইন ডেস্ক, ১১ ডিসেম্বর।। একটা বিশ্বকাপ কি তিনি পেতে পারতেন না? ফুটবল ইশ্বরেরও কি দায় ছিল না? ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সমর্থকরা এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজছেন।

শনিবার রাতে মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই থামতে হয়েছে পর্তুগালকে। রোনালদো মাঠ ছেড়েছেন কাঁদতে কাঁদতে। যার ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রোনালদোর পাড় ভক্ত থেকে শুরু করে অন্য দলের সমর্থকদেরও যা ভারাক্রান্ত করেছে।

৩৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন। হ্যাঁ, নিজের সেরা সময়টা তিনি ফেলে এসেছেন বছর ‍দুয়েক আগেই। বিশ্বকাপের আগে ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চলছিল টানাপোড়েন। আসরের মাঝেই যাদের সঙ্গে সম্পর্কের ইতিও ঘটে।

এরপর আসে নতুন বিতর্ক। পর্তুগালের শুরুর একাদশে জায়গা হারান রোনালদো। এমনকি মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচেও বদলি হিসেবে মাঠে নামতে হয়েছে তাকে। ‘জীবনের শেষ’ বিশ্বকাপটা রোনালদো জন্য সত্যিই দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল। আর ক্যাবিনেটে সব থাকল, শুধু বিশ্বকাপটাই থাকল না।

রোনালদোর এভাবে বিদায়ে কাঁদছেন তার ভক্তরাও। একজন রোনালদোর বেঞ্চে বসে থাকার একটি ছবি পোস্ট করে যেমন লিখেছেন, ‘এই চাহনি বড় কঠিন চাহনি, এই চাহনিতে হাহাকার ছিল, এই চাহনিতে আকুতি ছিল- জ্বলে উঠবার। যতবার ছবিটার দিকে তাকাই মায়া লাগে। এই চাহনি সহ্য করে যাওয়া কঠিন, পারেননি কোচ সান্তোসও। ৫০ মিনিটের পরে নামিয়েছেন রোনালদোকে, কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না সিআর সেভেনের। ফুটবল বিশ্বকাপ তোমাকে মিস করবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো। ভালোবাসা নিয়ো।’

আরেকজন রোনালদোর ছবি ফেসবুকের কাভারে দিয়ে লিখেছেন, ‘এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া…।’জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় মারিয়া মান্দা লিখেছেন, ‘সব সময় তোমার খেলা মিস করবো’।

রিফাত এমিল নামের একজন লিখেছেন, ‘রোনালদো কাঁদেনও! আল থুমামার টানেলটা কতটা দীর্ঘ? জিজ্ঞেস করুন রোনালদোকে। এই চোখে হাত দেওয়া, এই কান্না… ১৫ বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলের শাসন। রোনালদো থামলেন, থামালেন আমাকেও। আক্ষেপ? একটুও না। মনে হচ্ছে ১৫ বছর ধরে আপনার সঙ্গেই ছিলাম। আজকের কান্নাতেও। ঐ বার্তা মনে থাকবে, লড়ে যেও। ধন্যবাদ রোনালদো, জীবনটা সহজ করার জন্য।’

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *