অনলাইন ডেস্ক, ৫ মার্চ।। ইউক্রেনর সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ অবিলম্বে থামানোর আর্জি জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করল সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদন সংস্থা লুকঅয়েল। বিশ্বের মোট উৎপাদিত অশোধিত তেলের প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদন করে এই রুশ কম্পানি। প্রায় এক লাখ কর্মী কাজ করেন এই কম্পানিতে।
কম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের অংশীদার, কর্মচারি এবং গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতিতে এই সশস্ত্র সংঘাতের দ্রুততম অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ সকলের প্রতি আমরা আন্তরিক সহানভূতি প্রকাশ করছি। আমরা চাই অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক’।
লুকঅয়েলের চেয়ারম্যান এবং সিইও ভ্যগিট অ্যালেকপ্রভ রাশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। লুকঅয়েলের বেশির ভাগ শেয়ারই এই প্রাক্তন তৈল শোধনাগার কর্মী ও তার সহকারি লিওনিড ফেডানের হাতে রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা রাশিয়ার অশোধিত তেল কেনা থেকে দূরে থাকছেন। ফলে লুকঅয়েলকে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
লন্ডনে এই কম্পানির শেয়ার দর পড়ে গেছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে কোম্পানির শেয়ারের ওপর সমস্ত লেনদেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধু লন্ডন নয় আমেরিকাতেও ব্যবসা চালাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে লুকঅয়েলকে। নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনিসিলভেনিয়া জুড়ে প্রায় দুই শতাধিক পেট্রল পাম্প রয়েছে এই কম্পানির। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা কম্পানিটিকে বয়কট করেছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার আরও দুই ধনকুবের মিকাইল ফ্রিডম্যান ও ওলেগ দেরিপাস্কা যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে তাদের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। মিকাইল ফ্রিডম্যান রাশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আলফা ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। এই আলফা ব্যাঙ্কের ওপরও সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।