ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ২১ দিনে গড়িয়েছে

অনলাইন ডেস্ক, ৭ অক্টোবর।। সঠিক নিয়মে হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুতে গত ১৬ অক্টোবর থেকে ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ২১ দিনে গড়িয়েছে। এ বিক্ষোভে দেশটির সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি হাইস্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সামিল হয়েছে।

বিক্ষোভে এরই মধ্যে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এবার ইরানের কয়েকটি নগরীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (০৫ অক্টোবর) দেশটির উরমিয়া, তাবরিজ, রাসত নগরীসহ রাজধানী তেহরানের বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি এমনকী ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতেও ভয় পাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করার জন্য বাইরে প্রচুর পুলিশ ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। ইরান ছাড়াও এদিন বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। জার্মানির বার্লিনে বিক্ষোভে চুল কেটে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা।

ইরান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এদিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করায় ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটন তেহরানের জনগণের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইরানে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে সোমবার (৩ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তেহরানে পুলিশ একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে, সহিংস এ বিক্ষোভের ইন্ধনদাতা হিসেবে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের নাম উচ্চারণ করেন তিনি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *