স্টাফ রিপোর্টার, বিলোনীয়া, ২৪ আগস্ট।। কথায় আছে চোখের সামনে দিয়ে হাতি গেল ও নজর থাকে না পেছনে মাছি যেতেই দক্ষযজ্ঞ বাঁধিয়ে দেয় । বাংলায় এমনই প্রবাদ প্রবচনের বাস্তবায়ন করে দেখালো বিলোনিয়া সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা। মঙ্গলবার রাত অনুমানিক ৯ টা বিলোনিয়া চার নং পুল সংলগ্ন রামকৃষ্ণ কলোনি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান ও এলাকাবাসীর মধ্যে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিলোনিয়া থানার বিশাল পুলিশ ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদ সংগ্ৰহ করার সময় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা বাধা দেয় সংবাদ প্রতিনিধিদের। ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মোবাইল সহ ক্যামেরা। সংবাদ মাধ্যম এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের সাথে এই ঘটনা নতুন নয়।
উত্তেজনা চরমে উঠে। পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । প্রতিনিয়ত পাচার কারবারীরা পাচার সাম্রাজ্য বানিয়ে রেখেছে এই চার নং পুলের সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ কিছু কিছু সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা এই পাচারকারীদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছে।
অনেকের অভিযোগ পাচারকারীদের আড়াল করতেই নাকি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে মঙ্গলবার রাতে কর্তব্যরত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা। অন্যদিকে বিএসএফ আধিকারিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় অত্র এলাকায় প্রচার বাণিজ্যের দুষ্ট চক্র গতকালকের রাতের এই হাঙ্গামা তৈরি করার ক্ষেত্রে মদত যুগিয়েছে।
তারা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাজে বাধা প্রদান করার জন্য এই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমের উপর বাধা প্রদানের বিষয়টা উনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান এবং তিনি এটাই বলেন সংবাদ মাধ্যমের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া।
সে ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার কোনো ধরনের প্রশ্নই উঠে না। তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।রামকৃষ্ণ কলোনীর এলাকাবাসীদের অভিযোগ গতকাল রাতে হঠাৎ করে জনা কয়েক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান চার নং পুলের রাস্তায় উঠৈ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় এলাকাবাসীদের বাড়িতে হঠাৎ করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে ।
কোন কিছু বোঝার আগে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিএসএফের ছোড়া ইট পাটকেলে বেশ কয়েক জন আহত হয়। এলাকার মহিলা পুরুষরা জড়ো হয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের সামনে আসতেই নাকি বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এমনকি বন্দুকের বাট তুলে মারতেও তেড়ে যায় অভিযোগ তুললো এলাকাবাসীরা ।
এই ঘটনায় কিছু সময় ধরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরবর্তী সময়ে খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি বেশি দূর গড়াতে পারেনি কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়ে আসে।