আগরতলা, ১৮ জুন : ত্রিপুরায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। আগামীদিনে আরও পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। বুধবার ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং সিবিএসই অনুমোদিত বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থানাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। হাঁপানিয়ায় আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইনডোর হলে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর এদিন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
একটা সময়ে রাজ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য তেমন একটা সুযোগ ছিল না। উচ্চশিক্ষার জন্য তখন বহঃরাজ্যে যেতে হত। বর্তমানে ত্রিপুরায় উচ্চশিক্ষার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বুধবার ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং সিবিএসই অনুমোদিত বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
এদিন হাঁপানিয়ার আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইনডোর হলে রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে এই কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক তথা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দফতরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্রকুমার, দফতরের অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যে প্রচুর পরিকাঠামো রয়েছে। রাজ্যে ফার্মেসি কলেজ রয়েছে। রয়েছে ফিশারী কলেজ, ভেটেনারি কলেজ, এগ্রিকালচার কলেজ। শিক্ষায় পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে ডিজিটাল পড়াশোনার ব্যবস্থার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের নজর দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। পড়াশুনার পাশাপাশি সমাজ গঠনেও লক্ষ্য রাখার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং সিবিএসই অনুমোদিত বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির কৃতীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুষ্পস্তবক, মানপত্র এবং স্মারক উপহার তুলে দেন অতিথিরা।