প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ের তিন মাসেই গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগরতলা, ২৫ এপ্রিল : বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আগরতলার কলেজ টিলা ফাঁড়ির অধীন আড়ালিয়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি ওই গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

আড়ালিয়ার সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা স্নেহা ধর ভালোবেসে একই এলাকার বাসিন্দা বান্টি ঘোষকে বিয়ে করেন। তাদের সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথাও ঠিক ছিল। কিন্তু ছেলের বাবা হঠাৎ করে এই বিয়ের জন্য মেয়ের বাড়ির কাছ থেকে কিছু টাকা ও একটি বাইক যৌতুক হিসেবে চান। এই কথা শুনে মেয়ে স্নেহা ধর ও তার বাড়ির লোকেরা এই বিয়ে থেকে পিছিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে স্নেহা ধরকে বান্টি ঘোষ একটি জেরক্স এর দোকানের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তারা বিয়ে করেন। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মেয়ের বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিয়ের তিন মাসের মধ্যে তাদের মেয়ে এই কাজ করতে পারেন না বলে মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের দাবি। তাদের অভিযোগ, স্বামী বান্টি ঘোষ এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা পরিকল্পিতভাবে তাদের মেয়েকে খুন করেছে। এদিন নিহত গৃহবধূর বাপের বাড়ির এক নিকট আত্মীয়া জানান, পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।

এদিকে শুক্রবার জিবি হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবার-পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলেজ টিলা ফাঁড়ির পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আড়ালিয়া সুভাষপল্লী এলাকায় তীব্র চঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *