আগরতলা, ১৮ ডিসেম্বর : চিকিৎসকদের রোগী ও তাঁর পরিবার পরিজনদের আস্থা অর্জন করতে হবে। সেইসাথে বহিঃরাজ্যে রোগী রেফার করার প্রবণতা হ্রাস করতে হবে। বুধবার আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
দেখতে দেখতে দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজ। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার আগরতলা টাউনহলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা ডঃ সঞ্জীব কুমার দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিভাগের অধিকর্তা ডাঃ অঞ্জন দাস, মেডিকেল এডুকেশন বিভাগের অধিকর্তা প্রফেসর ডাঃ এইচ পি শর্মা, আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষা প্রফেসর ডাঃ শালু রায় প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজ চালুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রোগী আশা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে আসেন। এই ক্ষেত্রে রোগীর আস্থা অর্জন করতে হবে। রোগীর পরিবার-পরিজনদেরও আস্থা অর্জন করতে হবে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহিঃরাজ্যে রেফার হ্রাসে চিকিৎসকদেরও ভূমিকা নিতে হবে। তাঁদের ভাবতে হবে আমি কেন পারব না।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু অনুষ্ঠানে অনেকেই চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে তাঁর সাথে কথা বলতে আসেন। তিনি অবাক হয়ে যান যখন শোনেন সুপার স্পেশালিস্ট চিকিৎসক বহিঃরাজ্যে রেফারের কথা বলছেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চিকিৎসা পরিষেবায় চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজও করে চলছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে একটি বেসরকারি উদ্যোগে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৫০টি আসন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল আগরতলা গভর্মেন্ট ডেন্টাল কলেজ। বর্তমানে এই কলেজের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৩টি। এই সময়ের মধ্যে ব্যাপক পরিকাঠামোগত পরিবর্তনও আনা হয়েছে আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজে।