বিলোনিয়া সীমান্তে গণধোলাইয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বাংলাদেশি পচারকারী

বিলোনিয়া, ৪ ডিসেম্বর : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া সীমান্তে গণধোলাইয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বাংলাদেশি পচারকারী। ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা। প্রশ্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারী নিয়ে।

বুধবার সকালে বাংলাদেশের ফেনীর পরশুরাম ও বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পূর্বে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে তিন বাংলাদেশি যুবক। দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এক বাংলাদেশি যুবক হাতেনাতে ধরা পড়ে।

চোর সন্দেহে জনরোষের মুখে পড়ে গণধোলাই খেল ওই বাংলাদেশি যুবক। পরে সে স্বীকার করে সীমান্তে পাচার বাণিজ্যের সাথে যুক্ত। নাম ইসবুল হোসেন ইলিয়াস ওরফে ইয়াসিম। বাড়ি বাংলাদেশের ফেনী জেলার পরশুরাম এলাকায়। সে পাচার বাণিজ্যের লেনদেনের বিষয়ে ভারতীয় পাচারকারীদের সাথে কথা বলার জন্য এসেছে। ঘটনা জানাজানি হতে ছুটে আসে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। উপস্থিত জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইসবুল হোসেন ইলিয়াসকে।পুলিশ আহত ইসবুলকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয় হাসপাতালে।

বাংলাদেশি পাচারকারী যুবক ইসবুল হোসেনের কাছ থেকে জানা যায়, ভারতের বিলোনিয়া সীমান্তের তিন পাচারকারীর সাথে কথা বলতে এবং তাদের সাহায্যে বিলোনিয়ায় অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশি ইসবুল হোসেন ইলিয়াস। বর্তমানে দুই দেশের চরম উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এরই মধ্যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা থাকা সত্ত্বেও কি ভাবে সীমান্তে পাচার বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের আনাগোনা চলছে এই নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে সীমান্তে পাহারাগত বিএসএফ জওয়ানদের দিকে।

বুধবার সকালে বিলোনিয়া চেকপোষ্ট সংলগ্ন কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে ইসবুল বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে বিলোনিয়াতে প্রবেশ করে। সে প্রতিনিয়ত চোরাই পথে পেঁয়াজ ও রসুনের ব্যাবসা করে বলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। গুরুতর আহত বাংলাদেশি যুবক বর্তমানে শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *