আগরতলা, ৩ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে ত্রিপুরাতেও বিক্ষোভ আন্দোলন জোরদার হচ্ছে ক্রমশ৷ সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনের অফিস ঘেরাও এর পর মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ চলো’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে একাধিক সনাতনী সংস্থা ও সংগঠন৷ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার আগরতলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলন ‘বাংলাদেশ চলো’ এর ডাক দেওয়া হয়েছিল৷
এদিনের আন্দোলন কর্মসূচির ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে খবর৷ তারপরও হাজার হাজার সনাতনী যুব ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নেতৃত্বে অনুগামীরা রাজধানী আগরতলা শহরে আন্দোলন কর্মসূচিতে সামিল হন৷ শহরের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সমবেত হন আন্দোলনকারীরা৷ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ ত্রিপুরা বিজেপি ও দলের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব সহ কর্মী সমর্থকরা৷ তাদের দাবি অবিলম্বে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে৷ সেই সাথে চিন্ময় প্রভুকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে৷ এই দাবিতে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানী আগরতলা৷ বিশাল সংখ্যায় আন্দোলনকারী রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সমবেত হয়েছেন৷ মানব বন্ধন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ‘বাংলাদেশ চলো’ অভিযান ক্লোজ করা হয়েছে৷
এদিকে, প্রশাসনের তরফ থেকে সোমবার রাতেই রাজধানী আগরতলা থেকে আখাউড়া আইসিপি পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তায় একাধিক ব্যারিকেট তৈরী করেছে৷ প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়৷ সকাল থেকে পুলিশের পদস্থ আধিকারীকরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছে৷ পুশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার ডঃ কিরণ কুমার কে জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ চলো’ অভিযানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাছাড়া তিনি আরও জানিয়েছেন, সোমবার আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে তার সাথে জড়িত সাতজনকে আটক করা হয়েছে৷ তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার৷ তাঁর দাবি বাংলাদেশ থেকে যারা আখাউড়া আইসিপি দিয়ে ভারতে তথা ত্রিপুরায় আসছেন তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না৷