রাজ্যের মানুষের অভাব অভিযোগ ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচিতে শুনলেন প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা

আগরতলা, ২০ নভেম্বর।। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা তাঁর ব্যস্ততম কর্মসূচির মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৩৬তম পর্বে আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকারের সময় প্রত্যেকেই তাদের বিভিন্ন সমস্যা, অভাব ও অভিযোগের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসায় সহায়তার আর্জি নিয়ে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা চিকিৎসায় সহায়তার আবেদন নিয়ে আসা অসহায় মানুষের পাশে থাকার ভরসা দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মেলাঘরের তসলিমা খাতুন তার ৬ বছর বয়সী ছেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। দারিদ্র্যসীমার নীচে (বিপিএল ভুক্ত) বসবাসকারী পরিবারের তসলিমা খাতুনের ছেলে জন্মের পর থেকেই কানে শুনতে পায় না। চিকিৎসকরা তসলিমা খাতুনের ছেলের শীঘ্রই কানের অপারেশন করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার দরুণ তসলিমা খাতুন তার ছেলের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এমন অবস্থায় তিনি তার ছেলের উন্নত চিকিৎসার সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন।

মুখ্যমন্ত্রী তসলিমা খাতুনের ছেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবতীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। যোগেন্দ্রনগরের রাজু চক্রবর্তী তার একমাত্র ছেলের চিকিৎসায় সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। রাজু চক্রবর্তীর ১২ বছরের ছেলে জন্মের পর থেকেই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে রাজু চক্রবর্তী তার ছেলের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এই অবস্থায় সে তার ছেলের চিকিৎসায় সহায়তা করার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

মুখ্যমন্ত্রী রাজু চক্রবর্তীর ছেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গে জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে রাজু চক্রবর্তীর ছেলেকে কিভাবে সহায়তা করা যেতে পারে সে বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাসকে নির্দেশ দেন। খোয়াইয়ের চেবরির রঞ্জন রায় তার দুই ছেলের চিকিৎসা ও আগরতলার ভাটি অভয়নগরের সীতা ঘোষ তার নিজের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।

পেশায় গৃহ পরিচারিকা সীতা ঘোষ কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ভুগছেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না থাকার কারণে সে তার সঠিক চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে তার আবেদনে সাড়া দিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশ দেন। রাণীরবাজারের রুমা দেববর্মাও তার চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহায়তার আবেদন জানান। দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী রুমা দেববর্মা বেশ কয়েক বছর যাবৎ ক্যান্সার রোগে ভুগছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার আবেদনে সাড়া দিয়ে রুমা দেববর্মার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. এস দেববর্মাকে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *