আগরতলা, ২৯ অক্টোবর : কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রচার ও প্রসারে নিরন্তর কাজ করে চলছে। আগরতলার প্যারাডাইস চৌমুহনীতে ৫০ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে। বুধবার আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে আয়ুর্বেদ দিবসের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রসারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় রোগীদের আস্থা বাড়ছে। আয়ুর্বেদ হাসপাতাল সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার আয়ুর্বেদিক কেন্দ্রগুলির বহির্বিভাগে রোগীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীদের বিনামূল্যে প্রায় সব ধরণের আয়ুর্বেদিক ঔষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
রাজ্যে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা প্রসঙ্গে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের আয়ুর্বেদিক ওষুধ কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরাতেও আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে সহজ ও আধুনিক করতে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে আয়ুর্বেদ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করে বলেন, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবার সহযোগিতায় প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতি আগামীদিনে আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্যের প্রকল্প অধিকর্তা ড. সমিত রায় চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ অঞ্জন দাস, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রফেসর ডাঃ এইচ পি শর্মা প্রমুখ।