আগরতলা, ২৫ অক্টোবর : ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুতের যোগান থাকায় ঘর আলো করার জন্য এখন আর মোমের প্রয়োজন হয় না। তবে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাই বছর ভর মোমের চাহিদা থাকে। রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা মোমবাতি কারখানাগুলিতে কাজ চলে বারোমাস।
তবে আলোর উৎসব দীপাবলিতে মোমবাতির চাহিদা সারা বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। তাই এই সময় কারখানারগুলিতে শ্রমিকরা রাতদিন কাজ করে চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেন। ত্রিপুরার মোমবাতি কারখানাগুলির মধ্যে অন্যতম বড় একটি কারখানা হচ্ছে রাজধানী আগরতলার জয়নগর এলাকার সুজন ব্যানার্জীর মোমের কারখানা। রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও তিনি সারা বছর মোমবাতি সরবরাহ করে থাকেন।
উৎসবের দিনগুলিতে মোমের চাহিদা সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে সুজন ব্যানার্জী বলেন, প্রতিনিয়ত মোমবাতির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাঁর কারখানায় উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। উৎসবের এই সময়ের কথা চিন্তা করে সারা বছর যে পরিমাণ শ্রমিক কাজ করেন তার চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি শ্রমিককে উৎপাদনের কাজে লাগানো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় মোমবাতির দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তুলনামূলক দাম তেমন বেশি বৃদ্ধি পায়নি।