আগরতলা, ১৯ অক্টোবর : রাজধানী আগরতলার লালবাহাদুর ক্লাব সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তথা মেলারমাঠের মোবাইল ব্যবসায়ী প্রয়াত হরিশংকর সাহার বাড়িতে গেলেন বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী। প্রয়াত ব্যবসায়ী হরিশংকর সাহার স্ত্রী এবং ছেলের সাথে কথা নলেন বিরোধী দলনেতা। পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
পরে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা নেই। সরকারের উদাসীনতার কারণে এমনটা হচ্ছে রাজ্যে। সেদিন পুলিশ হরিশংকর সাহাকে অনায়াসে বাঁচাতে পারত। কিন্তু দেখা গেল পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই পুলিশও পরোক্ষভাবে খুনি বলে দাবি করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন অভিযুক্তের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ব্যবসায়ী হরিশংকর সাহা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে রাজধানী আগরতলা শহরের মেলারমাঠ এলাকায়। এক যুবক ওই দোকানে আসে। তখন দোকানের মালিক হরিশংকর সাহা চেয়ারে বসেছিলেন। দোকানে আসা ওই যুবক প্রথমে দোকানে এসে দোকান মালিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন দোকান মালিক চেয়ার থেকে উঠেন। সাথে সাথে ওই যুবক দোকান থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে যায়। দোকান মালিক দোকান থেকে বাড়িয়ে আসার সাথে সাথে ওই যুবক পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে দোকান মালিক হরিশংকর সাহাকে আঘাত করতে থাকে। তার মাথায় ও পেটে ছুরির আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় দোকান মালিক ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ওই যুবককে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। এতে আহত হয় ওই যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় আহত দোকান মালিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অপরদিকে অভিযুক্ত যুবককেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় হরিশংকর সাহার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ওই যুবক। জানা গিয়েছে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এই হত্যাকান্ড। হামলাকারী যুবকের নাম রাহুল কৃষ্ণ রায়। বাড়ি আগরতলার কলেজটিলা এলাকায়।