পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশ হলে সবচেয়ে আগে বিকাশ হয় স্থানীয় জনগণের : মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

সোনামুড়া , ৫ সেপ্টেম্বর : পর্যটন শিল্প রাজ্যে ভবিষ্যতে বিকল্প অর্থনীতির দিশারি হয়ে উঠবে। একটি পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশ হলে সবচেয়ে আগে বিকাশ হয় স্থানীয় জনগণের। আর্থিকভাবে উন্নতির সুযোগ ঘটে স্থানীয়দের। শনিবার নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রের রাজঘাটে নবনির্মিত পর্যটন পরিকাঠামোর উদ্বোধন করে পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।

মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার এবং পর্যটন দপ্তর। ভারত সরকারও বিভিন্নভাবে এই পর্যটন কেন্দ্রকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। নীরমহলকে কেন্দ্র করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে ৭৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার পরিকাঠামো নির্মাণে অর্থ ব্যয় করবে, রাষ্ট্রের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এই সম্পদকে রক্ষা করার দায়িত্ব স্থানীয়দের। নীরমহল রক্ষা করার জন্য তিনি স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রে উন্নত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকাঠামো করা হয়েছে। স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে রাজঘাটে নির্মিত হয়েছে ট্যুরিস্ট ফেসিলিটেশন সেন্টার, স্যুভেনির শপ, ওয়েলকাম গেট, ওয়াচ টাওয়ার, টিকেট কাউন্টার, পর্যটকদের বসার জন্য বিশেষ আসনস্থল, পার্কিং-এর জন্য জায়গা।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক কিশোর বর্মণ, মেলাঘর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ পাল রায়, নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু মৎসজীবী সমবায় সমিতির সচিব পরমেশ্বর দাস, পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা প্রমুখ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *